কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে সম্মত দুই দেশ

চলমান যুদ্ধের মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈঠকে যুদ্ধবিরতির কোনো ঘোষণা না এলেও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ‘মানবিক করিডোর’ নির্মাণে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। পাশাপাশি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আগামীতে উভয়পক্ষ আবারও বসবে। সেই সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে এমন জায়গাগুলোতে জরুরি ওষুধ ও খাবার সরবরাহ করা হবে।

বেলারুশে ইউক্রেনের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেওয়া মিখাইলো পোডোলইয়াকের বরাতে বিবিসি জানায়, কিছু সেক্টরে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার সময়টায় অস্ত্রবিরতিরও সম্ভাবনা আছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার পক্ষে আলোচনায় অংশ নেওয়া মেডিনস্কি রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, আলোচনায় কিছু ব্যাপারে একমত হওয়া গেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারে সমাধান এসেছে তা হলো যুদ্ধক্ষেত্রে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন বাঁচানো।

তিনি বলেন, দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে সম্মত হয়েছে যে বেসামরিক নাগরিকদের বের হয়ে যাওয়ার পথ করে দেওয়া হবে। সেই সময়টায় দুপক্ষ সাময়িক লড়াই বন্ধ রাখার সম্ভাবনাও আছে। আমি একে বড় অগ্রগতি মনে করি।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলারুশে বৈঠক শেষে টুইটারে এ কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষ হয়েছে। দুর্ভাগ্য যে, এবারও ইউক্রেনের স্বার্থে আশানুরূপ কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তবে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নিতে যৌথভাবে ‘মানবিক করিডোর’ খুলে দিতে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ। একই সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় আটকেপড়া মানুষের জন্য ওষুধ ও খাবার সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিতে সম্মত হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে ৪০ লাখ নাগরিক ইউক্রেন ছাড়তে পারে। তবে তাদের আশ্রয় দিতেও ইউরোপ প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে। কিয়েভ ছেড়ে এসব নাগরিকরা ইউরোপের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও মলদোভায় প্রবেশ করছে।

পাঠকের মতামত: