কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়: বরখাস্ত সাত ডিবি পুলিশের জামিন বাতিল

কক্সবাজারে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চলমান মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বরখাস্ত সাত সদস্যের জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন। আদেশের পর সাত বরখাস্ত ডিবি সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে দেন-দরবারের পর ১৭ লাখ টাকা পৌঁছে দেওয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে বিষয়টি গফুরের স্বজনেরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চৌকির কর্মকর্তাকে জানান। মেরিন ড্রাইভ সড়কে চৌকির সেনাসদস্যরা মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যদের মাইক্রোবাস তল্লাশি করে ১৭ লাখ টাকা পায়। এ সময় এসআই মনিরুজ্জামান গাড়ির গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটকের পর মনিরুজ্জামানও ধরা দেন পুলিশের হাতে। এ ঘটনায় তাদেরকে পুলিশ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

মামলার আসামিরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার এসআই মনিরুজ্জামান (৩৫), কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার এসআই আবুল কালাম আজাদ (৩৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার এএসআই গোলাম মোস্তফা (৩৬), লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকার এএসআই ফিরোজ আহমদ (৩৪), কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার এএসআই আলা উদ্দিন (৩২) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার কনস্টেবল মোস্তফা আজল (৫২) ও চাঁদপুরের মতলব মান্দারতলীর কনস্টেবল মো. আল আমিন (২৬)।

পাঠকের মতামত: