কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ব্রুনাইকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের জন্য আসিয়ানের পক্ষ থেকে আরও বেশি মনোযোগী প্রচেষ্টা চালাতে আজ ব্রুনাই প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ব্রুনাই’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো এরিওয়ান পেহিন ইউসুফের সাথে একটি ভিডিও কলের সময় এই আহ্বান জানান।

কথোপকথন চলাকালে ড. মোমেন রোহিঙ্গা সঙ্কট আরও প্রকট হলে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্যও সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে তার আশঙ্কার কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্রুনাইয়ের সঙ্গে তার উষ্ণ সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।

আলাপকালে উভয় মন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো পর্যালোচনা করেন এবং সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করতে সম্মত হন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বেচ্ছায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় আস্থা তৈরির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মিয়ানমারের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের ওপর চাপানো বিশাল বোঝার কথা স্বীকার করে দাতো এরিওয়ান ইউসুফ তার পূর্ণ সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং পরিস্থিতি বাংলাদেশের প্রতি অন্যায্য বলে পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে মিয়ানমারের সকল পক্ষ বাস্তুচ্যুত জনগণকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য সম্মত প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে এবং এই সংকটের একটি টেকসই সমাধান করতে আন্তরিকভাবে কাজ করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্জিত অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে ড. মোমেন দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি ত্বরান্বিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন, যা বর্তমানে সম্ভাবনার তুলনায় অনেক কম। আকর্ষণীয় বিনিয়োগ প্যাকেজ এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাবিত সুযোগের কথা তুলে ধরে ড. মোমেন ব্রুনাইয়ের বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই সুযোগগুলো গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষভাবে আইসিটি ও ডিজিটাল অর্থনীতি, হালাল বাণিজ্য, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং মৎস্য খাতে ব্রুনাইয়ের উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগের কথা উল্লেখ করেন।

দাতো এরিওয়ান ইউসুফ বাংলাদেশী আম আমদানিতে তার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহজতর করতে একটি বিমান পরিষেবা চুক্তি সম্পাদনের ওপর জোর দেন।

পাঠকের মতামত: