কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভগ্নিপতির থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যা

শিহাব উদ্দিন বিপু::

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ভগ্নিপতির সঙ্গে টাকার লেনদেনের রাগে ভাগ্নে-ভাগ্নিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে রেখে দেন মামা বাদল মিয়া। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে বাদল মিয়া জোড়া খুনের কথা স্বীকার করেন।

গতকাল বুধবার ঢাকার সবুজবাগ থানাধীন এলাকা থেকে বাদল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বাঞ্ছারামপুর থানার পুলিশ। এর আগে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র কামরুল হাসান (১০) ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শিফা আক্তারের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বাদল বাহরাইন থাকাকালে দোকান করার জন্য তাঁর ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেন। এর মধ্যে তিনি তিন লাখ টাকা ফেরত দেয়ন। বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেওয়ায় কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তাঁর। সপ্তাহ খানেক আগে বাদলকে এজন্য থাপ্পড়ও মারেন কামাল উদ্দিন। সেই রাগে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন বাদল মিয়া। ঘটনার দিন সোমবার তাঁর রুমে গেলে দরজা বন্ধ করে উচ্চশব্দে স্পিকার বাজিয়ে ভাগ্নে কামরুলের হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন বাদল। পরে লাশ খাটের নিচে রেখে দেন। এ সময় ভাগ্নি শিফা আক্তার ঝাড়ু দিতে গিয়ে তা দেখে ফেললে তাকেও গলা কেটে হত্যা করেন মামা বাদল মিয়া। পরে তাদের লাশ কৌশলে নিজ ঘরের খাটের নিচে রেখে দেন।

বাদল মিয়া কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি লকডাউনের আগে বাহরাইন থেকে দেশে আসেন। দেশে আসার পর এলাকায় গোষ্ঠীগত দাঙ্গার কারণে মামলা হলে বাদল পালিয়ে থাকার জন্য গত ৩০ জুন থেকে ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের বাড়ি বাঞ্ছারামপুরের সলিমাবাদ গ্রামে চলে আসেন এবং ভগ্নিপতির বসত ঘরের এক পাশে একটি কক্ষে বসবাস করতেন।

এদিকে সোমবার ঘটনার পর থেকেই বাদল পলাতক ছিলেন। হত্যার ঘটনায় নিহতদের বাবা কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন এবং এই মামলায় আসামি বাদল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ।

পাঠকের মতামত: