কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভাসানচরের পথে এক হাজার ৭৭২ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আরো এক হাজার ৭৭২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের পথে যাত্রা শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর জেটি থেকে প্রথম জাহাজটি রওনা হয়। এরপর ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় আরো চারটি জাহাজ।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে গত দুই মাস ধরেই চলছে নানা ষড়যন্ত্র। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যেমন এর বিরোধিতা করছে, তেমনি নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি নানা সংস্থা। এর মাঝে দ্বিতীয় দফায় স্বপ্রণোদিত হয়ে ভাসানচর যেতে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির ত্যাগ করেছেন এক হাজার ৭৭২ জন রোহিঙ্গা। ৪২৭টি পরিবারের এসব রোহিঙ্গা সোমবার দুপুরেই বাসযোগে কক্সবাজার ছেড়ে চট্টগ্রাম আসেন। রাতে তাদের রাখা হয় বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে।
সরকারি বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় যেসব রোহিঙ্গা ভাসানচর যাচ্ছেন এর মধ্যে ১৩০ জনের বেশি রয়েছে যারা প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন। গত ২ ডিসেম্বরর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচর যান। তারাই সেখান থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ভাসানচরের পরিস্থিতি দেখিয়ে স্বজনদের আসতে উদ্বুদ্ধ করে।

বাংলাদেশ সরকার এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের পরিকল্পিত আবাসনসহ আধুনিক সব জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করে রেখেছে। পর্যায়ক্রমে নির্ধারিত রোহিঙ্গাদের এখানে স্থানান্তর করা হবে।
গত ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। একই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।
কিন্তু ২০১৮ সালে যখন প্রথম তাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়, তখন থেকেই সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল রোহিঙ্গারা।

পাঠকের মতামত: