কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভাসানচরে জাপানের অনুদান: স্বাগত জানাল ২ আন্তর্জাতিক সংস্থা

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার পরিকল্পিত আবাসস্থল তৈরি করেছে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে। কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলারের জরুরি অনুদান দিয়েছে জাপান সরকার। এই অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সংস্থা দুটি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউএনএইচসিআর জানায়, ভাসানচরে মানবিক সহায়তা এবং এ দ্বীপে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর কার্যক্রমের সম্পূরক সহায়তা হিসেবে ২০ লাখ মার্কিন ডলার জরুরি অনুদান দিয়েছে জাপান সরকার।

গত বছরের ৯ অক্টোবর জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পর ভাসানচরে জাতিসংঘের মানবিক সাড়াদানের অংশ হিসেবে এ অনুদান দেওয়া হয়। ওই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে এ দ্বীপে মানবিক সাড়াদানের জন্য একটি সার্বজনীন সুরক্ষা ও নীতি কাঠামো তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, ‘জাপানের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ভাসানচরে জাতিসংঘের কার্যক্রমে কোনো দাতার সর্বপ্রথম এ অনুদান এ দ্বীপে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ অনুদান তাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি একাত্মতারই বহিঃপ্রকাশ।’

ইয়োহানেস বলেন, ‘জাপান সরকারের এ অনুদান ইউএনএইচসিআর ও ডব্লিউএফপিকে মৌলিক কিছু বিষয়ে সেবাদান ও বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন- সুরক্ষা, দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, খাদ্য, পুষ্টি, জীবিকা ও স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাহায্য করবে, যা এ দ্বীপে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মানসম্মত জীবনযাপন করতে ও ভবিষ্যতে মিয়ানমারে টেকসইভাবে প্রত্যাবর্তনের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, ‘জাতিসংঘের এ মানবিক সাড়াদান ভাসানচরে বর্তমানে স্থানীয় এনজিওগুলোর দেওয়া সহায়তার সম্পূরক সহায়তা হিসেবে কাজ করবে। জাপানের অনুদান এ দ্বীপে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জরুরি প্রয়োজনগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করতে এবং এ দ্বীপে লজিস্টিকস সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। আশা করি, অতি ঝুঁকিপূর্ণ এ সময়ে বাংলাদেশকে এবং এ দ্বীপ ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে জাপানের পাশাপাশি অন্যান্য দাতাগোষ্ঠীও এগিয়ে আসবে।’

পাঠকের মতামত: