কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ভাসানচরে রওনা দেওয়া ১০০০ রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের কাছাকাছি

দ্বিতীয় দফায় আরও এক হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচর যাচ্ছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে বাসে চড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তারা। রোহিঙ্গাবাহী এ বাস বহরে পুলিশের একটি গাড়ি এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

গতকাল রোববার বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে রাখা হয়। মূল ক্যাম্প ছাড়াও ৩৪টি ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা গতকাল রোববার বিকেল ৪টা থেকে ট্রানজিট পয়েন্টে আসতে শুরু করেন। আজ সোমবার সকালেও অনেকে রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্টে আসেন।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। আর সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে সমুদ্র উপকূলে আটক আরও তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।

প্রথমবার রোহিঙ্গাদের অনেকেকেই অনেক বোঝানোর পর তারা ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছিলেন। এ দফায় রোহিঙ্গারা নিজ থেকেই ভাসানচরে যাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখান। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় যেসব রোহিঙ্গার আত্মীয়স্বজন গেছেন, তাদের কাছে সুযোগ-সুবিধার খবর শুনেই অনেকেই যেতে উদগ্রীব ছিলেন।

জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের তালিকাভুক্ত ক্যাম্প ছাড়া বাকি সব ক্যাম্প থেকেই যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৮ ডব্লিউ ক্যাম্প থেকে যাচ্ছে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার। উখিয়ার কুতুপালং-৪ নম্বর ক্যাম্প থেকে ২৭ পরিবার যাবে। কুতুপালং-২ ডব্লিউ থেকে যাবে ২৪ পরিবার।

উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (ইস্ট) মাঝি (মাতবর) বলেন, ‘আমার ব্লক থেকে কয়েকটি পরিবার ভাসানচরে যাচ্ছে। তাদের কাউকে জোর করা হয়নি।

একই ক্যাম্পের সাবেক মাঝি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘এ ক্যাম্প থেকে আবদুস সালাম ও আবুল হাশেম মাঝির পরিবারসহ বেশকিছু ঘর নোয়াখালীর ভাসানচরে যাবে। প্রথম দফায় যারা গেছে, তাদের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধার খবর জেনেই নতুন করে অনেকেই যেতে আগ্রহী হয়েছে।’

পাঠকের মতামত: