কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অবকাঠামোয় খুশি জাতিসংঘ

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘ এতদিন অসন্তোষ প্রকাশ করে আসলেও এবার বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভোলকান বোজকির।

মঙ্গলবার (২৫ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্থাটির ৭৫তম অধিবেশনে তিনি এ প্রশংসা করেন। সেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
ভাসানচরের একটি ভিডিও দেখার পর তিনি সংবাদিকদের বলেন, যদিও আমি সেখানে যেতে পারছি না, তবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে সেখানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাকে সেখানকার একটি ভিডিও দেখানো হয়েছে, ওখানে মানসম্মত ভবন নির্মাণের প্রশংসা আমি করি।

এছাড়া হারিকেন ও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সেখানে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আমি মনে করি, শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় এটা বিশ্বের জন্য উদাহরণ হতে পারে। দ্বীপের অবকাঠামো শরণার্থীদের অবস্থার পরিবরর্তনে কার্যকর হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সাধারণ পরিষদ সভাপতি।

তিনি বলেন, আমি ভিডিও দেখেছি। এখন আমি দূরাবস্থায় থাকা শরণার্থীদের দেখভালের ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরব। বুধবার (২৬ মে) কক্সবাজারে গিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসাযোগ্য উদ্যোগ দেখব এবং সেখান থেকে মিয়ানমারের উদ্দেশে আমার বার্তা দেব।
বাংলাদেশের অগ্রগতিও বিশ্বের জন্য উদাহরণ হতে পারে উল্লেখ করে সভাপতি বোলকান বজকির বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং এলডিসি থেকে উন্নীত হয়ে নতুন পর্যায়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতিও অন্যদের জন্য উদাহরণ হতে পারে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সবচেয়ে বেশি পুলিশ ও সেনাসদস্য পাঠানোর জন্যও বাংলাদেশকে প্রশংসা করেন বজকির।

কক্সবাজারের প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। সে লক্ষ্যে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে প্রায় ১০ হাজার একর আয়তনের এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করে। ইতোমধ্যে পাঁচ দফায় মোট ১২ হাজার ২৮৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে সরকার।
জাতিসংঘসহ রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই স্থানান্তর নিয়ে আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার পর পাল্টাপাল্টি বিবৃতিও দিয়েছিল জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার।

পাঠকের মতামত: