কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভাসানচর পৌঁছেছে রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় দল

দ্বিতীয় দফায় আরও ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ। এ নিয়ে ভাসানচরে আশ্রয় মিললো ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গার।

মঙ্গলবার সকালে জাহাজগুলো চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর বোট ক্লাব সংলগ্ন জেটি থেকে রওনা হয়। ভাসানচরে পৌঁছায় দুপুর ১ টার দিকে।

সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব রোহিঙ্গারা স্বপ্রণোদিত হয়ে ভাসানচরে গেছেন। কাউকে জোর করা হয়নি।

ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবির থেকে চট্টগ্রাম রওনা হন এই রোহিঙ্গারা। তাঁদের নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০টির বেশি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় কক্সবাজারের উখিয়া কলেজের মাঠ থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ৩৬টি বাস চট্টগ্রামে যায়। পরে সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রথম দফায় ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অনেক স্বজনই প্রথমবার ভাসানচরে আসতে পারেনি। তারা ভাসনচরে আসার জন্য তাদের উৎসাহী করেছেন। কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ে এখানে বসবাসের জীবনমান অনেক উন্নত। তারা সেই বিষয়টিতে আস্থা রেখেই স্বেচ্ছায় দ্বিতীয় দফায় এখানে এসেছেন।

রোহিঙ্গারা বলছে, কক্সবাজার ক্যাম্পে তাদের সন্তানদের উন্নত শিক্ষার ব্যবস্থা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, তারা চাচ্ছেন এই ভাসানচরে তাদের সন্তানরা শিক্ষা পায় এবং উন্নত জীবন পেতে চায়।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেওয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

পাঠকের মতামত: