কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মক্বা-মদিনার প্রধান দুই মসজিদে এবার ১০ রাকাত তারাবি

মহামারি আকারে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনায় এ বছর মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে তারাবির নামাজ দশ রাকাত পড়া হবে। এছাড়া আরও বেশ কিছু নতুন নতু্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২০ এপ্রিল) বাদ এশা হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস সাংবাদিক সম্মেলনে আসন্ন রমজানে তারাবি ও অন্যান্য বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এ ঘোষণা দেন।

প্রেসিডেন্ট শায়খ সুদাইস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমান বিশ্ব যেহেতু করোনার অদৃশ্য থাবায় আক্রান্ত, তাই সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে মক্কা-মদিনা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ হতে রমজান সংশ্লিষ্ট কিছু নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এসব সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর জন্য। দেশের অন্য মসজিদের ক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া পুরোনো সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। তা হলো- সীমিত সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে রমজানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, তারাবি ও শেষ দশ দিন তাহাজ্জুদের (কিয়ামুল লাইল) জামাত চলবে। এছাড়া ইমাম-মোয়াজ্জিন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। যাবতীয় ইফতার আয়োজন ও পরিবেশনা স্থগিত। তার পরিবর্তে মক্কা-মদিনাজুড়ে প্যাকেটজাত ইফতার বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এবার সৌদিতে ইতেকাফের কোনো ব্যবস্থাপনা থাকছে না। বিশ রাকাতের স্থলে তারাবি হবে পাঁচ সালামে মোট দশ রাকাত। প্রতিদিন দু’জন ইমামের একজন তারাবির প্রথম ছয় রাকাত এবং অপরজন বেতরসহ অবশিষ্ট চার রাকাত নামাজ পড়াবেন। প্রত্যেহ তারাবিতে কোরআনে কারিমের শুরু হতে সুনির্দিষ্ট একটি অংশ তেলাওয়াত করা হবে। শেষ দশ দিনের তাহাজ্জুদে তারাবিতে পঠিত তেলাওয়াতের ধারাবাহিকতা বহাল থাকবে এবং ২৯ রোজায় কোরআন খতম করা হবে। বেতরের নামাজে কুনুতের দোয়া সংক্ষেপ তবে অর্থবহ করে উপস্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, সৌদিআরবে করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে দেশটির সকল মসজিদে জুমা ও জামাত স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

পাঠকের মতামত: