কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

মহিবুল্লাহ হত্যায় আরও দুই রোহিঙ্গা আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক::

কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও দুজিন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২ অক্টোবর) সকালে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন দুই রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। এনিয়ে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হল।

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নইমুল হক বলেন, “শনিবার রাতে বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়।”

১ ইস্ট লম্বাশিয়া ক্যাম্প থেকে আব্দুস সালামকে (৩০) এবং ৮ ইস্ট কুতুপালং ক্যাম্প থেকে জিয়াউর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর শুক্রবার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্পের এপিবিএন সদস্যরা সেলিম উল্লাহ (৩০) নামে এক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে। সেলিম লম্বাশিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা।

উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পেই ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস অফিসে এই সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহে (৪৮) গুলি চালিয়ে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারীরা।

মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহর দাবি, খুনিরা ছিল ১৫-২০ জন। তাদের মুখ ছিল মাস্ক ও গামছায় ঢাকা।

হাবিবুল্লাহ যে মামলা করেছেন, তাতে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি হামলাকারী কয়েকজনকে চেনার কথা সাংবাদিকদের জানালেও মামলায় আসামির তালিকায় কারও নাম দেওয়া হয়নি।

মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গার অধিকাংশই রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে। কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে সম্প্রতি নোয়াখালীর ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার চার বছর আগে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।

পাঠকের মতামত: