কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মহেশখালী ইউএনও’র হাতে গড়া সবজি বাগান, শোভা পাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

করানোকালে পাল্লা দিয়ে দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতিতে ক্রেতারা দিশেহারা। শুধু কি তাই “ফলফলাদি, টাটকা শাক সবজি, কাঁচা তরকারী সব কিছুতেই রয়েছে ফরমালিন বিষে ভরা। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ একটি বাড়ী একটি খামার যেমন মানুষকে বিষমুক্ত ফল ফলাদি শাক সবিজ খাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তেমনি মানুষের দৃষ্টান্ত গুলো অনুকরনীয় হয়ে আছে অনেকের মাঝে।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম যোগ দিয়েছেন কয়েক বছর আগে। এরই মাঝে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের দৃষ্টান্ত অনুকরণ করে উপজেলা নির্বাহীর বাংলোর এক পাশের পরিত্যাক্ত জায়গায় গড়ে তুলেছেন বিষমুক্ত টাটকা শাক সবজি ও ফলমুল।

৩ মাস কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে বাগানে শোভা পাচ্ছে ঝিংগা, করোলা, চিচিংগা, ঢেড়শ, কলমি শাক, লাল শাক, ডাটা শাক, পুই শাক, ডালিম ও নাম না জানা অনেক ফলের সমারহ।

তিনি তার হাতে গড়ে তোলা সবজি ক্ষেত থেকে বিষমুক্ত ঢেড়শ ও লাল শাক তুলতে গিয়ে  একজন প্রতিবেদক প্রচার বিমূখ একজন ইউএনওর ছবিটি ২৭ জুন শনিবার বিকালে পিছন থেকে তোলে ফেসবুকে আপলোড দিয়ে ছড়িয়ে দে। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শোভা পাচ্ছে একজন মানবিক ইউএনওর ক্ষেতে অবস্থানরত ছবিটি। ছবিটি ব্যাপক সাঁড়া ও ফেলেছে পাঠক মহলে।

এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, গ্রামে বাবা-মায়ের সমতুল্য কৃষকদের কাছ থেকে দেখে ও নিজের হাতে কাজ করার ইচ্ছায় এই সবজি বাগান গড়ে তোলা। হতে পারে সকলের বাড়ির আনাচে কানাচে পরিত্যক্ত জায়গা একটি সবজি বাগান। নিজে করি ও সকলকে উৎসাহ দিই এটাই আমার ইচ্ছা।

এই ক্লান্তিকালে ও সরকারের দায়িত্ব যথাযথ পালনের পর অবসর সময়ে নিজ হাতে গড়া খামারে তিনি গড়ে তুলেছেন পরিবেশ বান্ধব সুন্দর এই ছোট পরিসরে খামারটি। কৃষিবান্ধব আমাদের দেশের অধিকাংশ উপকরণই আসে কৃষকের মাঠ থেকে যা নিত্যদিনে আমাদের প্রয়োজন হয় সকল কাজে।

এ রকম আমাদের বাড়ির চারপাশের পরিত্যাক্ত জায়গাই একটু শাক সবজির বাগান গড়ে নিজের ও পরিবারের সাহায্যে আসতে পরি।

পাঠকের মতামত: