কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

মাহবুব তালুকদারের কড়া সমালোচনায় যা বললেন সিইসি

‘জাতীয় ভোটার দিবসের’ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে হেয়, অপদস্ত ও নিচে নামানোর জন্য নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার যা করা দরকার সবই করে চলেছেন।

এর আগে, সিইসি নূরুল হুদার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু হয় পাঁচ বর্তমান ইসির। ২০২২ সালে শেষ হবে তাদের মেয়াদ।

তবে এদের চার কমিশনারের মধ্যে মাহবুব তালুকদার শুরু থেকেই নানা বিষয়ে কমিশনের অন্যদের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন। বিভিন্ন নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর মতোই তার মন্তব্য দেখা যায়, নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হচ্ছে না, সব পক্ষ সমান সুযোগ পাচ্ছে না।

এদিকে ভিন্নমত দিয়ে বারবার আলোচনায় আসা মাহবুব তালুকদার সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এও জানান, দেশের প্রয়োজনে পদত্যাগে প্রস্তুত আছেন তিনি।

বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগ করলে যদি লাভ হয়, দেশের যদি কোনো উপকার হয়, তাহলে আমি যে কোন মুহূর্তেই পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।

এর আগে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে লিখিত বক্তব্যেও বর্তমান বর্তমান ইসির সমালোচনা করেন মাহবুব তালুকদার। ওইসময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর সাংবিধানিক দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে না পারলে আমরা গণতন্ত্র অস্তাচলে পাঠানোর দায়ে অভিযুক্ত হব।

আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘মাহবুব তালুকদার সাহেব অভ্যাসগতভাবে সারাজীবন আমাদের এ নির্বাচন কমিশনে যোগ দেয়ার পরদিন থেকে যা কিছু ইসির নেগেটিভ দিক তা পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে পাঠ করতেন। আজকে এর ব্যতিক্রম হয়নি।

ভোটার দিবস উপলক্ষেও তিনি একটা রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, দেশের নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে তিনি কাজ করেন না; ব্যক্তি স্বার্থে ও একটা উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য এ কমিশনকে অপদস্ত করার জন্য যতটুকু যা করা দরকার যখন যতটুকু করা দরকার ততটুকু করেছেন উনি। এ নির্বাচন কমিশনে যিনি যোগদান করেছেন, যতগুলো সভা হয়েছে সব সময় এটা করতেন। আর একটা বছর আছে তা তিনি বলতে থাকবেন।

তবে আমি ভেবেছিলাম ভোটার দিবস হিসেবে তিনি কিছু বলবেন; কিন্তু আজও তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য রাখলেন। ইসিকে কতখানি হেয় করা যায়, কতখানি নিচে নামানো যায়, অপদস্ত করা যায় তা তিনি করে চলেছেন।

পাঠকের মতামত: