কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

যুদ্ধাপরাধীর বিচার চেয়ে খুন আ.লীগ নেতা, পলাতক আসামি গ্রেফতার

২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির বিচার চেয়ে খুন হয়েছিলেন চকরিয়ার বদরখীলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা। ওই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সোয়ায়তকে দীর্ঘ ছয় বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

বুধবার (২৩ মার্চ) রাতে জেলার চকরিয়া উপজেলার মগনামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সোহায়েত মগনামা গ্রামের-মো. নুরুল আজিজের ছেলে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার মহানগর নিউজকে বলেন, ‘২০১৬ সালের ৩০ জুন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বদরখালী এলাকার একটি চায়ের দোকানের টিভিতে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার খবর সম্প্রচার হচ্ছিল।  সংবাদ দেখে বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা বলতে থাকেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর একে একে সব রাজাকারের ফাঁসি দিচ্ছে’। এ সময় চা দোকানে থাকা নুরুল হুদার আপন ভাতিজাসহ স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী নুরুল হুদার কথায় ক্ষিপ্ত হন। পরবর্তীতে নুরুল হুদাকে চা দোকান থেকে অপহরণ করে বদরখালী ইউনিয়নের ঠুটিয়াখালীপাড়ার একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভিকটিম নুরুল হুদার ছেলে শাহজাহান বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০১।

র‌্যাব-৭ এর সিইও ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ মহানগর নিউজকে বলেন, এই মামলায় পুলিশ ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চলতি বছরের ৬ মার্চ পাঁচ আসামির মধ্যে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একজনকে খালাস প্রদান করেন। এদের মধ্যে সোহায়েত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছিল। তাকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: