কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এপিবিএন-৮'র উদ্যোগ...

রাতে ক্যাম্প পাহারায় রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে বাঁশি

শ.ম গফুর::

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধমুলক কর্মকান্ড নির্মুলে রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী দ্ধারা পাহারার আওতায় আনছে ক্যাম্প অভ্যন্তর এলাকা। এ লক্ষ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন-৮) ক্যাম্প অভ্যন্তরে নিজেদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেও এ কাজে অংশ গ্রহণ করাচ্ছে। ক্যাম্পের অপরাধ প্রবন এলাকা ও স্থান চিহ্নিত করে তাতে রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী কর্মী দিয়ে পাহারায় বসিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া হয়েছে বাঁশি আর লাটি।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন-৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরান হোসেন জানান, ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্লকধারী হেড মাঝি, সাব মাঝি, ইমাম-মুয়াজ্জিন, শিক্ষক সহ রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটিতে স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের নিয়ে সচেতনতামুলক করণীয় সভায় উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে ৮-আর্মড পুলিশ ক্যাম্প অভ্যন্তরে বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

শনিবার (১২ মার্চ) বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত উখিয়ার শফি উল্লাহ কাটা ১৬নং পুলিশ ক্যাম্পের আওতাধীন হাকিম পাড়ায় এফডিএমএন ক্যাম্প-১৪’তে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা করেন। এতে ৫ সহস্রাধিক রোহিঙ্গার উপস্থিতিে এ মতবিনিময় সভায় স্বেচ্ছায় পাহারাদার নিয়োগে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
এতে ক্যাম্পের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার প্রত্যয়ে কয়েকটি বিশেষ করণীয় গ্রহন করা হয়।

রাত্রিকালীন এফডিএমএন সদস্য দ্বারা পরিচালিত জালের মতো বিস্তৃত স্বেচ্ছা পাহারা ব্যবস্থা যেন সবসময় দৃশ্যমান থাকে তা ভোর ৬ টা পর্যন্ত প্রতিটি ব্লকে নিয়োজিত থাকে। প্রতিটি সাব-ব্লকে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১০ জন এবং ক্যাম্পের প্রবেশ পথে সর্বনিম্ন ২৫ থেকে ৩০ জন স্বেচ্ছায় পাহারাদার সবসময় সর্তক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন৷ সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে সঠিক তথ্য দিয়ে পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবেন৷ ক্যাম্প এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অপহরণ ও মাদক কেনাবেচা রোধে পুলিশকে সঠিক তথ্য প্রদান করবেন৷ ক্যাম্পে বাঙালীদের সাথে কলহ-বিরোধে না জড়ানোর জন্য উদ্ধুদ্ধ করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য আহবান জানানো হয় রোহিঙ্গাদের প্রতি।

উপস্থিত এফডিএমএন সদস্যগণ স্বেচ্ছা পাহারা ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানায় এবং এ ব্যবস্থার পরিপেক্ষিতে ক্যাম্পে ৯৫ ভাগ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

এ সময় অ‌তি‌রিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ র‌বিউল ইসলাম পি‌পিএম-সেবা, সহকারী পুলিশ সুপার মো: শাহ আলম সহ পু‌লিশ পরিদর্শক (নি.) জনাব মো: ই‌লিয়াছ খান সহ পদস্থ পুলিশ অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ৮-এপিবিএন’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোঃ কামরান হোসেন জানান, ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এপিবিএন।

পাঠকের মতামত: