কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসছে ইজিবাইক অটোরিক্সা

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও সড়ক নিরাপত্তায় ইজিবাইক-থ্রি-হুইলার জাতীয় অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন বিভাগে গঠিত কমিটির পেশকৃত প্রস্তাবিত সুপারিশমালা যাচাই বাছাই করে কর্মকৌশল নির্ধারণে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৮তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন মন্ত্রী।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে আইনগত কাঠামো আরও যুগোপযোগী এবং যৌক্তিক করতে সংশ্লিষ্ট স্টেক-হোল্ডারদের মতামত ইতোমধ্যেই নেয়া হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বল্প সময়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনগত ভীত মজবুত করা হবে।

তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো দেশের মহাসড়কে রোড সেফটি অডিট চালু করা হয়েছে। সড়ক নিরাপত্তায় ২০১৭ থেকে ২০২০ মেয়াদে একটি ন্যাশনাল রোড সেফটি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছিল, সেই পরিকল্পনার মেয়াদ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন একশন প্ল্যান প্রণয়নের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন করে ২০২১ থেকে ২০২৪ মেয়াদের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা আজ উপস্থাপন করা হয়। এটি একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা, তাই স্ট্র্যাটেজিক একশন প্ল্যান বাস্তবায়নে সুপারিশ চূড়ান্ত করতেই এই কমিটি করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, এ কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করে পরবর্তী সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পেশ করবে।

ডিজিটাল কার্ড সংকটের কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্সে জন্য মানুষের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ মাসের শেষ সপ্তাহ হতে মানসম্মত লাইসেন্স প্রদানের কাজ শুরু হবে।

এ সময় বিআরটিএ’র কার্যালয়ে ও ভার্চুয়ালি প্ল্যাটফরমে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য শাহজাহান খান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ এবং কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, ডিএমপি কমিশনারসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।

বেসরকারী বিভিন্ন সংগঠনের হিসাব অনুযায়ি সারাদেশে ১২লাখের বেশি ইজিবাইক রয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এক সময় সরকার দেশে সরাসরি ইজিবাইক আমদানি নিষিদ্ধ করে। সেই নিষেধাঞ্জা এখনও বলবৎ আছে। যদিও ব্যবসায়ীরা পার্টস আমদানি করে দেশেই ইজিবাইক তৈরী করে বিক্রি করছে। এখন দেশের সকল সড়ক, মহাসড়কে এককভাবে এই যানের আধিপত্য। পেডেল রিক্সার স্থান দখল করেছে ইজিবাইক। বিআরটিএ থেকে অনুমোদন না পাওয়ায় এই যানের বেশিরভাগ চালকের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। নেই সড়ক ও পরিবহন আইন থেকে শুরু করে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে কোন ধারণা। ফলে মহাসড়কে নিষিদ্ধ হলেও সারাদেশে কমবেশি এই যানটি মহাসড়কে চলতে দেখা যায়। এতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার কথাও বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এই প্রেক্ষাপটে এই বাহনটির সরকারীভাবে বৈধতা দেয়ার ঘোষণা এল।

পাঠকের মতামত: