কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার ভাঙনে সংঘাত বাড়ার শঙ্কা

মিয়ানমারভিত্তিক সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) শীর্ষ নেতৃত্ব কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছেন। এর জেরে আলোচিত এ সংগঠন থেকে বের হয়ে গেছেন মুখপাত্র হামিদ হোসেন ওরফে সোহাইব এবং সেকেন্ড কমান্ডার ইন চিফ ফজল কবির ওরফে আবু আনাস। আরসা থেকে বের হয়ে তারা নতুন সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আসবে শিগগিরই ঘোষণা।

এ ব্যাপারে সামরিক বিশ্লেষক মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদ বলেন, ‘ভাঙনের ফলে আরসার শক্তি খর্ব হবে সত্য। তবে নতুন করে আরেকটা জঙ্গি সংগঠন সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। এতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘাত বেড়ে যাবে। ’ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘চাঁদার ভাগাভাগি এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে আরসার শীর্ষ নেতৃত্ব দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

আতাউল্লাহর সঙ্গে টিকতে না পেরে কয়েকজন সংগঠন থেকে বের হয়ে গেছেন। তারা নতুন সংগঠন তৈরির কাজ করছেন। শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা আসছে। ’ অনুসন্ধানে জানা যায়, কক্সবাজারের ৩৪ শরণার্থী ক্যাম্পের বেশির ভাগই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আরসার।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জোরদারের পক্ষে রোহিঙ্গাদের মুখপাত্র হিসেবে ভূমিকা রাখা মাস্টার মুহিবুল্লাহসহ প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করা কয়েক নেতা হত্যার অভিযোগ রয়েছে আরসার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর থেকে আরসার শীর্ষ নেতৃত্বে ফাটল ধরে। এরপর দূরত্ব বাড়তে থাকে নিজেদের মধ্যে। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে আরসা ছাড়ার ঘোষণা দেন আরসার মুখপাত্র হামিদ হোসেন ওরফে সোহাইব এবং সেকেন্ড কমান্ডার ইন চিফ ফজল কবির ওরফে আবু আনাসসহ বেশ কয়েকজন। দুই শীর্ষ নেতৃত্ব সংগঠন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তাদের স্থলাভিষিক্ত করা হয় আরসার শীর্ষ নেতা মাওলানা লাল মুহাম্মদ এবং শরিয়া বোর্ডের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুস্তাক আহমদকে।
আরসা থেকে বের হয়ে মাওলানা সোহাইব একটি অডিও বার্তা দিয়েছেন। ওই বার্তায় তিনি উল্লেখ করেছেন, আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনি বার্মিজ সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। তারা রোহিঙ্গা জাতির স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পক্ষে যারা কাজ করছেন, তাদের অপহরণ করছেন অথবা সরাসরি গুলি করে হত্যা করছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাঠকের মতামত: