কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আলোচিত মাস্টার নবী হোসেন গ্রুপের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ তীব্র রূপ নিয়েছে। হামলার প্রতিশোধ নিতে নবী গ্রুপের সদস্যরা আরসার সমর্থক ক্যাম্পের প্রহরীদের টার্গেট করে হত্যা করছে। বুধবার রাতে গুলিতে সলিমুল্লাহ ওরফে মো. সেলিম (৩০) নামে ক্যাম্পের এক প্রহরী নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহে ক্যাম্পের তিন প্রহরী নিহত হলেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক নাইমুল হক জানান, নিহত সেলিম কথিত ‘আরসা’ (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) গোষ্ঠীর সমর্থক। ‘মুন্না গ্রুপ’ নামের অপর একটি রোহিঙ্গাগোষ্ঠী তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আর মুন্না ওরফে মাস্টার মুন্না আলোচিত সন্ত্রাসী মাস্টার নবী হোসেনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।

জানা যায়, সীমান্ত ও ক্যাম্পের ভেতরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ সপ্তাহ আগে নবী হোসেনের আস্তানায় হামলা চালায় আরসার সন্ত্রাসীরা। ওইদিন তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নবী হোসেনের ভাই ভুলুসহ ৬ জন নিহত হয় বলে গুঞ্জন রয়েছে। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতা ও হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে মাস্টার নবী হোসেন গ্রুপ। টার্গেট করা হয়েছে কথিত আরসার সদস্য ও তাদের পরিবারকে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্যাম্পের স্বেচ্ছাসেবকরা। এ কারণে আরসার সঙ্গে জড়িত স্বেচ্ছাসেবকদের হত্যা করছে নবী হোসেন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা।

জানা যায়, রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহকে হত্যার পর আরসার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে আরসা। অনেকেই আরসার আমির আতাউল্লাহ জুননীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে আরসা ত্যাগ করে। এ সুযোগে কৌশল ও বল প্রয়োগ করে কথিত আরসার মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় মাস্টার নবী হোসেন। এ কারণে কথিত আরসার আমির আতাউল্লাহর নির্দেশে নবী হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি তার আস্তানায় হামলা হয়। সূত্র-সুগান্তর।

পাঠকের মতামত: