কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাসপাতাল নয়, যেনো এক একটি রোহিঙ্গা প্রজনন কেন্দ্র

বিশেষ প্রতিনিধি::

বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম নীতিকে থোড়াই কেয়ার করে এসব এনজিও সংস্থার পরিচালিত হাসপাতাল গুলো। পরিবার পরিকল্পনা শব্দটি নামে মাত্র ব্যবহার করলেও পরিবার পরিকল্পনার ‘ প ‘ অক্ষরটির ও সঠিক প্রয়োগ নেই কক্সবাজার জেলার উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিচালিত অধিকাংশ এনজিও সংস্থার হাসপাতাল গুলোতে। এ যেনো এক বিশাল মূলধহীন ব্যবসা। যতো প্রজনন ততো লাভ। যদিও তাদের মূল ভিত্তিতে লেখা থাকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান।

ক্যাম্পে কর্মরত অধিকাংশ এনজিও কর্মী মারফত জানা গেছে অধিকাংশ হাসপাতাল গুলোতে চলছে মহামারী আকারে রোহিঙ্গা প্রজনন ব্যবস্থা। স্থানীয় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে এরা রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ জনগোষ্ঠীকে শক্তিশালী করে দেশকে চরম সংকটের মুখে ফেলে দিচ্ছে। সরকার নির্ধারিত পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থার নিকুচি করে এসব এনজিওরা মোটা ডোনেশনের আশায় প্রতিনিয়তই চালিয়ে যাচ্ছে এসব দেশ বিরোধী অপকর্ম। যাতে করে দিন দিন বাড়ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্টীর সংখ্যা। কিছু এনজিও আবার এদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রকল্প ও হাতে নিয়েছে। সরকারী হিসেব মতে ১২ লাখ রোহিঙ্গার কথা বলা হলেও বর্তমানে ক্যাম্পে শিশু কিশোর বৃদ্ধ মিলে রোহিঙ্গার সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়াবে বলে আশংকা করছে স্থানীয় সচেতন মহল। এ জনগোষ্ঠী বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে ঝুঁকি। প্রায় প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারের কেউ না কেউ ১০/১২ বছর বয়স পার হওয়ার সাথে সাথেই জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে। বিভিন্ন গ্রুপে সঙ্গবদ্ধ হয়ে এরা অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষন থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা সহ ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রন তুলে নিচ্ছে নিজের হাতে। তাদের অত্যাচারে ভিটে বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

এদিকে একদিকে যেমন বাড়ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্টীর সংখ্যা অন্যদিকে কমছে দেশীয় বনভূমি সহ স্থানীয়দের কৃষি জমি। বনাঞ্চল ধ্বংস করার কারনে এতদঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে গেছে, নেমে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ নানাবিধ সমস্যা। বাজারে খাদ্য সংকট সহ স্থানীয়দের চড়া দামে কিনতে হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। সামগ্রিক সমস্যার সম্মুখীন স্থানীয়রা হলে ও মজা লুটে নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিচ্ছে তারা, ক্যাম্পে কর্মক্ষেত্রে এনজিও কর্তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্থানীয়দের ছাটাই করে নিয়োগ দিচ্ছে রোহিঙ্গা ও বহিরাগতদের। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুসছে ককসবাজারবাসী।

বিশ্বস্থ একটি সুত্র বলছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বেশ কিছু ছেলে মেয়ে বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বেশ কিছু নামকরা উচ্চশিক্ষার স্থরে পড়া লেখা করছে যারা আগামীতে ক্যাম্পে নেতৃত্ব দিবে। যার মূল কলাকুশলী বিদেশী অতি উৎসাহিরা, যার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বর্তমানে শুরু হয়ে গেছে। একদিকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অতিমাত্রায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি অন্যদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিন দিন গড়ে উঠা বিভিন সন্ত্রাসী গোষ্টীর দাপট এর মধ্যে রয়েছে আই এনজিওদের অতিমাত্রায় রোহিঙ্গা প্রীতি সব মিলিয়ে এক মহা সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে কক্সবাজার বাসী। স্থানীয়দের অভিমত এই মুহুর্তে এসব আই এনজিও দের লাগাম টেনে না ধরলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে এলাকাবাসীর জন্য।

পাঠকের মতামত: