কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা নিবন্ধন করলে ফৌজদারি মামলা

অবশেষে ২ বছর ১১ মাস পর কক্সবাজারে চালু হলো জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম। ৭১ ইউনিয়ন পরিষদ এবং চারটি পৌরসভার মধ্যে গতকাল সোমবার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তবে এবার রোহিঙ্গা নিবন্ধন করলে ফৌজদারি মামলা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক শ্রাবস্তি রায়।

এর আগে রোহিঙ্গাদের কারণে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পুরো কক্সবাজারে জন্ম নিবন্ধন কার্যত্রম বন্ধ করে দেয় সরকার। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা স্রোতের কারণে এ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় যেন কৌশলে রোহিঙ্গারা জন্ম নিবন্ধন করতে না পারে।

শ্রাবস্তি রায় জানান, কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম ১২টি ইউনিয়নে ৩১ আগস্ট থেকে চালু করা হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এটি। ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ ও চারটি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদসমূহ হলো- টেকনাফের হোয়াইক্যং, উখিয়ার হলদিয়াপালং এবং রত্নাপালং। কক্সবাজার সদরের ১০টির মধ্যে আটটি ইউনিয়ন যথা ঝিলংজা, পিএমখালী, ভারুয়াখালী, চৌফলদন্ডী, জালালাবাদ, খুরুস্কুল, ইসলামাবাদ এবং পোকখালী।

শ্রাবস্তি রায় জানান, আগের মতো জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করতে হবে। আবেদন পরিষদ থেকে উপজেলা জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন যাছাই বাচাই কমিটির বরাবরে উপস্থাপন করার পর কমিটি গুরুত্বসহকারে যাছাই করে সঠিন হলে পুনরায় অনুমোদন দিয়ে পরিষদে পাঠাবে। পরিষদ তা আবেদনকারীকে চেয়ারম্যান এবং পরিষদের স্বাক্ষরে সনদ প্রদান করবে।

প্রতিটি উপজেলায় শক্তিশালী বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা সবদিক বাছাই করে চূড়ান্ত করে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের যদি কোন চেয়ারম্যান বা পরিষদের পক্ষ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয় বা ইস্যুর পর যদি প্রমাণিত হয় তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। উক্ত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা এমনকি কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে।

শ্রাবস্তি রায় জানান, ইতোমধ্যে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাগণের হাতে পাসওয়ার্ড পৌছে দেওয়া হয়েছে। তারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রোভাইডারদের হাতে তা প্রদান করবেন। উক্ত ইউনিয়ন পরিষদসমূহে এখন থেকে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন স্থানীয় জনসাধারণ।

এদিকে, কক্সবাজার সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ মারুফ বলেন, ‘সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটি ইউনিয়ন পরিষদে আমরা জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালুর অনুমতি পেয়েছি। বাকি দুটি ইউনিয়ন পরিষদের পাসওয়ার্ড এখনো পায়নি। ইউনিয়ন দুটি হলো- ইসলামপুর এবং ঈঁদগাও।

এ দুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পরিষদের সচিবের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না থাকায় তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা অনলাইন করলে তাদের এলাকার লোকজন এ সেবার আওতায় আসবে। চেয়ারম্যান এবং সচিবের জন্মনিবন্ধন যদি অনলাইনে পাওয়া যায় উক্ত পরিষদকে জন্ম নিবন্ধনের সার্ভার খুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ইউএনও।

পাঠকের মতামত: