কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: মানবাধিকারে ভ্রুক্ষেপ নেই মিয়ানমারের

রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ইস্যুতে ভ্রুক্ষেপ নেই মিয়ানমারের। দেশটির লক্ষ্য শরণার্থী ইস্যু একপাশে সরিয়ে রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রশমন। এশিয়া টাইমসের এক নিবন্ধে এমনটাই বলা হয়েছে।

নিবন্ধে বলা হয়, মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অন্য দেশের আশ্রয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

গণহত্যার শিকার হয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ার পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও সংকট সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বারবার প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করছে না মিয়ানমার সরকার।

ফলে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় বিশাল একটা জনগোষ্ঠী এখন বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংঘাত দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে আগামী বছর (২০২৩) বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে রোহিঙ্গারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশ করে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে। রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে ওই বছরই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

কিন্তু রাখাইনের সে দুর্বিষহ গণহত্যার পাঁচ বছরে একজন রোহিঙ্গারও প্রত্যাবাসন হয়নি। মাঝে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তুমুল লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আবার আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রে এসেছে রোহিঙ্গা সংকট। রাখাইনে দুই পক্ষের সংঘাতের জেরে বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা বাড়ছে। সূত্র সময় টিভি

পাঠকের মতামত: