কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

র‌্যাব-ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করত তারা

সেনাবাহিনীর এক সাবেক সদস্যের পরিকল্পনায় র‌্যাব ও ডিবি পরিচয়ে চলতো ডাকাতি। মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া থেকে মোটা অংকের টাকা তুলে টার্গেট হতো সাধারণ মানুষ। এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে এমন ডাকাতির কাজ চালিয়ে আসছিল। পরে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডিবির জালে ধরা পড়ে চক্রের সদস্যরা।

রোববার (১৬ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে ডাকাত চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছে ডাকাত দলের নেতা মো. জালাল উদ্দিন ওরফে ক্যাপ্টেন জালাল, সেকেন্ড ইন কমান্ড মো. বাদল হোসেন শেখ ওরফে বাদল মাঝি, সাঈদ মনির আল মাহমুদ, মো. খোকন, শাহদাত হোসেন, মো. বাবুল ও মো. মহিদুল ইসলাম শেখ।

এ সময় তাদের থেকে একটি খেলনা পিস্তল, র‌্যাবের সাতটি জ্যাকেট, ডিবির একটি জ্যাকেট, হাতকড়া এক জোড়া, দুটি ওয়াকিটকি, দুটি ব্যাটন, পুলিশ লেখা ব্যাগ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, ৯টি মোবাইল ফোন ও নগদ দুই হাজার ৪০০ টাকা জব্দ করা হয়।

ডিবি জানায়, গ্রেফতার ডাকাত দলের নেতা জালাল উদ্দিন নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন জালাল হিসেবে পরিচয় দেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য। মতিঝিলের ব্যাংক পাড়া থেকে মোটা অংকের টাকা তুললে তাকে টার্গেট করে ডাকাতি করতেন এই ডাকাত দলের সদস্যরা।

ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, শনিবার রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম। গ্রেফতাররা প্রথমে মতিঝিল এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্কেট ইত্যাদিতে খোঁজ নিয়ে অধিক পরিমাণ নগদ অর্থ বহনকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করতেন। তারা সাধারণত চিটাগাং রোড থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি পর্যন্ত মহাসড়কে ডাকাতি করতো।

তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী প্রচণ্ড শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতেন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ডাকাত দলের নেতা জালাল উদ্দিন নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন জালাল হিসেবে পরিচয় দেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য।

গ্রেফতারদের মধ্যে জালালেল বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। সেকেন্ড ইন কমান্ড বাদল মাঝির বিরুদ্ধে রয়েছে ১১ মামলা। এছাড়া গ্রেফতার সাঈদ মনির আল মাহমুদের বিরুদ্ধে পাঁচটি ও খোকনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে বলে জানান ডিবি কর্মকর্তা হারুন।

পাঠকের মতামত: