কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

লিয়াকতের রিভলবারের গুলিই সিনহার শরীরে পাওয়া গেছে : আগ্নেয়াস্ত্র পরীক্ষক

পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকতের ব্যবহৃত সরকারি রিভলবার থেকেই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করা হয়েছে বলে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আগ্নেয়াস্ত্র পরীক্ষক মো. মিজানুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় সাক্ষী মিজান আদালতকে বলেন, আদালতের নির্দেশে লিয়াকতের ব্যবহৃত সরকারি রিভলবারটি আমরা পরীক্ষা করি। পরীক্ষা করে জানতে পারি লিয়াকতের রিভলবার থেকে গুলি বের হয়েছে। সেই রিভলবারের গুলিই সিনহার শরীরে পাওয়া গেছে।

এসব তথ্য মেজর সিনহা হত্যা মামলা বিচারকাজের সাথে যুক্ত একাধিক আইনজীবী ও আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

মেজর সিনহা হত্যা মামলার ৪৩তম সাক্ষী মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি রবি’র কর্মকর্তা এহছানুল করিমের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার ৬ষ্ঠ দফার দ্বিতীয় দিনের আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনে মোট ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, মঙ্গলবার ১৪ জন সাক্ষী দিয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমোট ৫৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।

তারা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পাঠকের মতামত: