কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

‘শীতে করোনা সংক্রমণ বাড়বে, বিয়ে-সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলুন’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সামনে শীত আসছে, এই সময় করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই এই সময় যতটা সম্ভব সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলাই ভালো।

শনিবার ( ১০ অক্টোবর) বিকেলে মানিকগঞ্জ পৌরসভার নয়া-কান্দি এলাকায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ১৩তম আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে আয়োজিত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ১০টি ইউনিয়নে ২৬০টি সাবমার্সিবল পাম্পযুক্ত গভীর নলকূপ বিতরণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে করোনা সংক্রামণের হার শতকরা ১১ শতাংশ। আমাদের আরও কাজ করতে হবে এবং সংক্রমণের হার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে গত এক সপ্তাহে গড়ে করোনায় মারা গেছেন ২০ জন। একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়। আমাদের লক্ষ্য করোনায় যাতে একজন মানুষেরও মৃত্যু না হয়। ইতোমধ্যেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে শীত আসছে, এই সময় করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। শীতের সময় যতটা সম্ভব সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলাই ভালো।

আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, অতিরিক্ত সচিব শাহ আলম,জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিমাই চন্দ্র পাল, জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস।

পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আক্তারুজ্জামান, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম।

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সেপ্টেম্বরেই জানিয়েছিল, শীতের আগেই উত্তর গোলার্ধের বিভিন্ন অঞ্চলে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সংক্রমণ। শীতকালে মহামারী আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

দেশেও যে শীত মৌসুমে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, সেই শঙ্কার কথা জানিয়ে আগাম প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সরকার প্রধানের নির্দেশনার পর রোডম্যাপ ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলার কথা বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর অবশ্য বলছেন শীতের দেশে শীতের দিনে ঝুঁকি যতটা বাড়বে, উষ্ণমণ্ডলের দেশ বাংলাদেশে তেমন নাও হতে পারে।

শীতে যদি করোনাভাইরাস অনেক বেশি ভয়ঙ্কর নাও হয়ে ওঠে, তারপরও বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে শীত মৌসুমে ঝুঁকি বাড়ার বেশ কয়েকটি কারণের কথা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।

পাঠকের মতামত: