কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা

যশোরের অভয়নগরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন জহিরুল ইসলাম বাবু।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের শালবাগান এলাকায় আব্দুস সবুরের বাড়ির পিছনে কলাবাগানে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পাষণ্ড স্বামী জহিরুল ইসলাম বাবু সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মশিউর রহমান বিশ্বাসের ছেলে।

নিহতরা হলেন- বাবুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (২৮), মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৯) ও সাফিয়া খাতুন (২)।

বাবুর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে তার বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি অভয়নগরের কলাতলা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। চাপাতলা গ্রামে আব্দুস সবুরের বাড়ির পেছনে কলাবাগানে এসে প্রথমে স্ত্রী বিথিকে এবং পরে বড় মেয়ে সুমাইয়া খাতুন এবং শেষে ছোট মেয়ে সাফিয়া খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মরদেহ সেখানে ফেলে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে ঘটনা জানায়। এ সময় বাবুর বড় ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে গেলে বাবু আত্মসমর্পণ করেন।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবির ওসি রূপন কুমার সরকার জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাবু শ্বশুরবাড়ি হতে ফেরার পথে হত্যাকাণ্ড ঘটান। এরপর কোতোয়ালি মডেল থানার অধীনে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করলে তাকে আটক করা হয়।

নিহত সাবিনা ইয়াসমিন বিথি অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের সোনাতলা বাজারের মুজিবুর শেখের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জহিরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে স্ত্রী বিথির ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে বাবু তার স্ত্রীসহ দুই শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে হত্যাকারী জহিরুল ইসলাম বাবু তার নিজ বাড়িতে গিয়ে ট্রিপল মার্ডারের কথা স্বীকার করেন এবং তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে বলেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে অভয়নগর থানায় হাজির করেন। তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রী ও শিশু কন্যা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পরে পুলিশ গিয়ে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম এ কে এম শামীম হাসান জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরেই স্বামী তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে। স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।

শনিবার (১৬ জুলাই) প্রেস ব্রিফিং করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পাঠকের মতামত: