কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সতর্ক হতে হবে শিশুর আয়রন স্বল্পতায়

লৌহ বা আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। মাতৃজরায়ুতে শিশুর বিকাশ, শিশুর প্রথম দুই বছরে দৈহিক ও মানসিক বিকাশ-বৃদ্ধি আয়রনের ঘাটতিতে বাধাগ্রস্ত হয়। আবার বয়ঃসন্ধিকালের শিশু যদি আয়রনের ঘাটতিজনিত অসুখে ভোগে তবে তার পড়াশোনা ও মেধাশক্তি–সামর্থ্যও ক্ষুণ্ন হবে। তাই এদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

মাতৃজরায়ুতে গর্ভস্থ শিশু গর্ভফুলের মাধ্যমে আয়রন গ্রহণ করে থাকে। এ আয়রনের ৮০ শতাংশ গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে দরকার হয়। সে কারণে যেসব নবজাতক পূর্ণ গর্ভকালের আগে ভূমিষ্ঠ হয়, তাদের মধ্যে আয়রন তুলনামূলক কম থাকে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর এর প্রধান জোগানটা আসে তাকে দেয়া খাদ্য-পুষ্টির মাধ্যমে। নবজাতকের আয়রনের উৎস হচ্ছে মাতৃদুগ্ধ। তাই শিশু জন্মের পরপরই মায়ের দুধ পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

শিশুর জন্য আয়রন কেন জরুরি?

আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখে। এ হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে সারা শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। এটি শরীরের পেশীতে অক্সিজেন জমা রাখে এবং পরবর্তীতে কোষের জন্য নির্ধারিত কার্যক্রম গতিশীল রাখতে সাহায্য করে। বাড়ন্ত শিশুর স্নায়ুবিক ও মানসিক বিকাশের জন্যও আয়রন জরুরি। শিশুর শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় আয়রন কম থাকলে আয়রনের ঘাটতিজনিত রোগ দেখা দেয়। আয়রনের ঘাটতির ফলে মূলত যে রোগগুলো হয় তার মধ্যে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া প্রধান। আয়রনের অভাবজনিত কারণে যে রক্তশূন্যতা হয় তাকে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া বলা হয়।

আয়রনের অভাবে ঝুঁকিতে যারা

যেসব শিশু নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্মগ্রহণ করে অথবা কম ওজন নিয়ে জন্মায়।

এক বছর বয়সের আগেই শিশুকে গরু বা ছাগলের দুধ পান করালে।

পাঠকের মতামত: