কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সরকারের সঙ্গে পরিবহণ মালিকদের বৈঠক আজ

গণপরিবহণ ও নৌপরিবহণ বন্ধে কার্যৈত অচল সারাদেশ। সড়ক পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘটের তৃতীয় দিন এবং লঞ্চ মালিকদের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন আজ। এদিন সারাদেশে বিআরটিসির কয়েকটি বাস ছাড়া আর কোনো পরিবহণ সড়কে দেখা যায়নি। লঞ্চগুলোও ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি। এতে দুর্ভোগের শেষ নেই যাত্রী সাধারণের।

পরিপ্রেক্ষিতে গণপরিবহণ ও নৌপরিবহণ মালিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ সরকারের বৈঠক। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে আজকের বৈঠকে বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করবেন মালিকরা। জানা গেছে, জ্বালানি তেলের বাড়তি দামসহ ১৯টি খাতের ব্যয় ধরেই ভাড়া নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রতিটি ধাপেই বাড়তি দর যুক্ত করে নতুন ভাড়া নির্ধারণের দাবি করেছেন মালিকরা। ২০১৯ সালে দূরপাল্লার ৫২ আসনের বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা ৭ পয়সা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত বাসে ২ টাকা ২১ পয়সা প্রস্তাব করেছিল বিআরটিএ।

ওই হারের চেয়ে আরও বেশি ভাড়া নির্ধারণের দাবি করছেন মালিকরা। বর্তমানে দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৪২ পয়সা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসে ১ টাকা ৭০ পয়সা ভাড়া নির্ধারিত আছে।

আজকের বৈঠকে বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসতে পারে।

এদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় শনিবার থেকে লঞ্চ চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। এই প্রেক্ষাপটে রোববার বিকালে মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে সরকার। বিকেল ৩টায় মতিঝিলের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেন সরকারের কাছে। শনিবারের মধ্যে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ওইদিন বিকেল থেকে লঞ্চ চালানো বন্ধ করে দেন মালিকরা।

পণ্যবাহী ট্রাক ধর্মঘট নিরসন নিয়ে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবহণ নেতাদের একাংশের বৈঠক হলেও তা সফল হয়নি। এ অবস্থায় তেলের বাড়তি দাম প্রত্যাহারসহ কয়েকটি দাবিতে পণ্যবাহী ট্রাক ধর্মঘট চালিয়ে যেতে অনড় অবস্থায় রয়েছেন মালিক-শ্রমিক নেতারা।

গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। গণপরিবহণ না পেয়ে বিকল্প যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা। গুনতে হয়েছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।

পাঠকের মতামত: