কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

এলাকাবাসীর দাবি একটাই, রোহিঙ্গাদের দ্রুত সম্মানজনক প্রত্যাবাসন

সাইফুর রহিম শাহীন::

মাদক পাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বহু রোহিঙ্গা। কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির পাশাপাশি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ক্ষতির স্বীকার হয়েছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

মানবতার খাতিরে আশ্রয় দেয়া ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।আশ্রয় শিবিরে থেকে অনেকে জড়িয়েছেন মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এমনকি ডাকাতির সঙ্গে। ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ, আর অস্ত্রবাজী লেগেই আছে। মাদক পাচার করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত অর্ধ শত রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের শ্রমবাজার নষ্ট হয়ে গেছে। তারা পাহাড়ে সশস্ত্র অবস্থান করায় আমাদের স্থানীয় জনগণ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।তবে বেশিরভাগ রোহিঙ্গাই নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চায়। তাদের দাবি নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা আর স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার।

করোনাকালে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের উদ্দেশ্য একটাই অতিদ্রুত তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।ত্রাণ, শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, যে সকল ঘটনা ঘটছে তা বিচ্ছিন্নভাবে ঘটছে। আর এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের যৌথবাহিনী কাজ করছে। এদিকে রোহিঙ্গাদের কারণে উজাড় হওয়া টেকনাফের মাইলের পর মাইল বনভূমিতে নতুন করে বনায়নের কাজ শুরু করেছে বলে জানান কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, তারা প্রায় আট হাজার একর বনভূমি ধ্বংস করেছে। আমরা চলতি বছর কক্সবাজার জেলায় প্রায় আট হাজার একর বনায়নের কাজ সম্পূর্ণ করেছি। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে যে খালি জায়গা আছে সেখানে বনায়নের কাজ করছি। ইতোমধ্যে চলতি বছরে ৩৬০ হেক্টর বনায়ন কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।কক্সবাজার-টেকনাফের বাসিন্দারা রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরাতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হওয়ার দাবি জানান।

পাঠকের মতামত: