কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সীমান্তে উত্তেজনা: মাস দেড়েক ধরে স্বস্তিতে নেই নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুর বাসিন্দারা

গভীর রাতেও চমকে উঠতে হয় গুলির শব্দে। গত প্রায় দেড় মাস ধরে থেমে থেমে গুলি চলছে মিয়ানমারের ভেতর। সেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সীমান্তের এপাশেও। গোলাগুলি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হলেও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তবাসীর মনে স্বস্তি নেই প্রায় মাস দেড়েক।

তাদের রাত কাটে অনেকটা জেগেই। আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তা থাকলেও স্থানীয়রা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন পরিস্থিতি উন্নতির। আর বিজিবি সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা সতর্ক ও তৎপর রয়েছেন।

সীমন্তে বসবাস করা এক নারী বললেন, রাত্রে গোলাগুলি হয়। আতঙ্কে থাকি; আমাদের জন্য নয়, মেয়েদের জন্য। যদি গোলাগুলি হয় তখন কী করবো তাদের নিয়ে? তাই তাদের বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি।

সীমান্ত ঘেষেই নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুতে বেলাল হোসেনের বাড়ি। স্বজনরা ঘুমিয়ে থাকলেও সারারাত তিনি জেগে থাকেন বলে জানান। যাতে গোলাগুলি হলে অন্যদের ডেকে দিতে পারেন।

কেউ কেউ অবশ্য ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন নিরাপদ দূরত্বে। তবে এখনও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন বেশিরভাগ মানুষ।

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মানুষ সাধরণভাবে একটু আতঙ্কে তো থাকেই। কখন আবার গায়ে গুলি পড়ে। অন্য চিন্তা আমরা এখনও করছি না। তবে সীমান্ত এলাকার মানুষদের আমরা নিরাপদে রাখার চিন্তা-ভাবনায় আছি।

মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির শব্দ এখন প্রতিদিনের ঘটনা। সেই শব্দ আতঙ্ক ছড়ালেও স্থানীয়রা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। সীমান্তবর্তী চায়ের দোকানে আড্ডারত কয়েকজন জানালেন, তারা আতঙ্কে আছেন। অবস্থা আরও বেগতিক দেখলে সরে যাওয়ার কথা বললেন কেউ কেউ।

পাঠকের মতামত: