কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সু চি কোথায়, খোঁজ মিলছে না

​সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। আটক করা হয়েছে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’সহ মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও শাসক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে। দেশটিতে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও নিন্দার ঝড় বইছে।

আটকের ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সু চি’র কোথায়, তা জানা যায়নি। তার সঙ্গে আটক অপর নেতাদেরও খোঁজ মিলছে না। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর আটককৃত নেতৃবন্দ কোথায় আছেন, তা দেশটির গণমাধ্যমগুলোও বলছে পারছে না।

এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস’র খবলে বলা হয়েছে, সু চি কোথায়, কোনও খোঁজ নেই। আটক অপর নেতাদেরও খোঁজ মিলছে না।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরপরই সু চি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে সেনাবাহিনী। সেসব পদে ইতোমধ্যে ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। বাকিরা সেনাসমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য। আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা নিজ হাতে রেখেছেন সেনাপ্রধান মিং অং হ্লইং।

আটক হওয়া সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের খোঁজ না মেয়ায় মিয়ানমারের সাধারণ জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।

এদিকে এক বিবৃতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মিয়ানমারের সেনা কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সু চি’সহ আটক নেতাদের মুক্তি না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সেইসঙ্গে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক উত্থান বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টারও তীব্র বিরোধিতা করা হয়।

গতকাল সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সেনা অভ্যুত্থানের পরপরেই হোয়াইট হাউসের দেয়া বিবৃতির পর বাইডেন নিজেও একটি বিবৃতি দেন।

সেই বিবৃতিতে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সরাসরি হুমকি দিয়েছেন।

তাঁর প্রশাসন মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যালোচনা করবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছেন বাইডেন।

ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসনের কৌশল কী হবে, সেদিকে উৎসাহ বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলের।

মানবাধিকারের বিষয়টিকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রেখে দেয়া প্রতিশ্রুতি স্মরণ করে বাইডেন তাঁর বিবৃতিতে স্পষ্ট বলেছেন, শুধু মিয়ানমার নয়, বিশ্বে যেখানেই গণতন্ত্র আক্রমণের শিকার হবে, সেখানেই রুখে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।

পাঠকের মতামত: