কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সেই মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী, হাইকোর্টের শুনানি আজ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক মাদরাসায় আট বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানোর দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে শুনানি আজ।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পরে সেটি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রোববার (১৪ মার্চ) শুনানির জন্য দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি জানান, চট্টগ্রামের মাদরাসার শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আগামী রোববারের মধ্যে জানাতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিকে) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও ভিডিও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতের নজরে আনলে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, আদালত জানতে চেয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াহহিয়া খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি-না, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছে কি-না। এছাড়া শিশুটির পরিবারকে কোনো চাপ দেয়া হয়েছে কি-না তাও জানাতে বলেছেন। এছাড়া মাদরাসাটি যে অধিদফতরের অধীনে তার কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।

তিনি জানান, শুনানিতে আদালত মন্তব্য করেছেন, এ ধরনের ঘটনা মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থার ইমেজ ক্ষুণ্ণ করেছে ।

জানা গেছে, হাটহাজারীর পৌর এলাকার মারকাজুল কোরান ইসলামি একাডেমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী শিশু ইয়াসিন। সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে মা পারভিন আক্তার ও বাবা মোহাম্মদ জয়নাল মাদরাসায় তাদের সন্তানকে দেখতে যান। কিন্তু ফেরার সময় ছোট্ট শিশুটি মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে। এক পর্যায়ে সে মা-বাবার পিছু পিছু মাদরাসার মূল ফটকের বাইরে চলে আসে।

আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মাদরাসাশিক্ষক ইয়াহহিয়া। মা-বাবার সঙ্গে মূল ফটকের বাইরে কেন গিয়েছে শুধু এই কারণে শিশুটিকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। আর শিশুটি বাঁচার আকুতি জানাতে থাকে। তারপরেও ক্ষান্ত হননি ইয়াহহিয়া। অনবরত চলে তার পিটুনি।

এ সময় শিক্ষার্থীদের কেউ একজন ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করলে, নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা।

৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ইয়াসিনকে ঘাড় ধরে নিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক ইয়াহহিয়া। কক্ষে নেয়ার পর তাকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান।

পাঠকের মতামত: