কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সেনাবাহিনী অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করেছে: জাতিসংঘ

মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন। মিয়ানমারে অভ্যুত্থান পরবর্তী বিক্ষোভের সময় অন্তত ৭০জনকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হত্যা, নিপীড়ন এবং নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী বিরোধী অপরাধের প্রমাণ ক্রমেই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ দূত। আলজাজিরা।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে এসব অভিযোগ তোলা হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়। অভ্যুত্থানের পর গ্রেফতার করা হয়েছে সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের।

 

সেনাবাহিনীর অভিযোগ,গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি করে জয় পেয়েছে এনএলডি। তবে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। দেশটিতে বর্তমানে জান্তা শাসকদের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তাতে দমছেন না আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মিয়ানমার বিষয়ক দূত এবং মানবাধিকার তদন্তকারী থমাস অ্যান্ড্রুস ‘এক ভয়াবহ সত্যের’ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন ‘মিয়ানমার নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এক খুনি ও অবৈধ শাসক দ্বারা।’

অ্যান্ডুস বলেন, নিহত বিক্ষোভকারীদের অর্ধৈকের বেশিরভাগেরই বয়স ২৫ বছরের নিচে। অভ্যুত্থানের পর থেকে দুই হাজারের বেশি মানুষকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে আর সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রচুর ভিডিও প্রমাণ রয়েছে যেখানে দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারভাবে বিক্ষোভকারী, চিকিৎসাকর্মী এবং পথচারীদের পেটাচ্ছে। এছাড়া সেনা এবং পুলিশবাহিনী বিভিন্ন বসতির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে সম্পত্তি নষ্ট, দোকানপাটে লুট, নির্বিচারে বিক্ষোভকারী এবং পথচারীদের আটক এবং মানুষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে- এমন ভিডিও রয়েছে।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন নেতাদের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান জাতিসংঘ দূত থমাস অ্যান্ড্রুস। এছাড়া সেনাবাহিনীর আয়ের অন্যতম উৎসগুলো যেমন সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ব্যবসা এবং মিয়ানমারের তেল ও গ্যাস ব্যবসার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।

তবে থমাস অ্যান্ডুস এসব অভিযোগ তোলার কয়েক ঘণ্টা পরই তা অভিযোগ করেছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব চান আয়ে। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সহিংস বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সংযম চর্চা করছে।’

পাঠকের মতামত: