শেখ রাসেল, টেকনাফ::
সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে চলাচলকারি যাত্রীবাহী দুইটি ট্রলার সাগরের ডুবোচরে আটকা পড়েছিল।৪০জনের মতো নারী-পুরুষ ও শিশু সহ ট্রলার দুইটি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাচ্ছিল।
মঙ্গলবার ৩ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ ট্রলার মালিক সমিতি’র লোকজনের সহযোগিতায় সেন্টমার্টিন থেকে আরও ৪/৫ টি ট্রলা যোগে লোকজন গিয়ে প্রায় ১০ ঘন্টা পরে ৪০ যাত্রীসহ ট্রলার দুটি সাগরের ডুবোচর হতে উদ্ধার করে নিরাপদে ৪ আগস্ট ভোর ৫টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছায়।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথ চলাচলকারি সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম।
তিনি আরো জানান,মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া খাল থেকে যাত্রী ও মালামাল নিয়ে এসবি তামিম ও এসবি আল নোমান নামে দুটি সার্ভিস ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল।
এরমধ্যে এসবি তামিম উক্ত যাত্রী নিয়ে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা অতিক্রম করার কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে।
তখন ট্রলারটি সাগরের মাঝখানে ভাসতেছিল।
পরে টেকনাফ থেকে মালামাল ভর্তি অপর ট্রলার এসবি আল নোমান ঘটনাস্থলে রাত ৮টার দিকে পৌছালে ওই ট্রলারে যাত্রীদের উদ্ধার করে নেওয়া হয়। পরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া ট্রলারটিতে রশি বেঁধে টেনে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে যাত্রীদের বাধার মুখে পুনরায় শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে নিয়ে আসার চাপ দেন।
চাপের মুখে এসবি নোমানের (মাঝি) চালক ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া এসবি তামিম ট্রলারসহ যাত্রীদের নিয়ে ফেরার সময় মিয়ানমারের সীমানা ঘেষা বঙ্গোপসাগরে নাইক্ষংদিয়া সংলগ্ন ডুবোচরে জোয়ারের পানি কমে যাওয়াই ট্রলার দুটি আটকা পড়ে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)মোঃ পারভেজ চৌধুরী জানান, ভোর ৫টার দিকে সেন্টমাটিন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির লোকজনের চেষ্টায় আটকে পড়া যাত্রী ও ট্রলার দুটি উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: