কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সেন্টমার্টিনে ইয়াস আতংক; নৌযান চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আতংকে রয়েছে টেকনাফ সেন্টমার্টিনদ্বীপের বাসিন্দারা। লোকজনকে নিরাপদে থাকতে মাইকিং করে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফের উপকূল শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারাও সর্তক অবস্থানে রয়েছে। এই দুর্যোগে উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আজ সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীসহ প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল সভা করেছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ চৌধুরী।

ভার্চুয়াল সভায় দ্বীপকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, চট্রগ্রাম,কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপকেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু দ্বীপের দশ হাজারের বেশি বাসিন্দা রয়েছে।

তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে হোটেল-মোটেলসহ অর্ধশতাধিকেরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে দুই দ্বীপের (সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে) বাসিন্দাদের মাইকিং করে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

অবস্থা অবনতি হলে প্রয়োজনে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সংস্থার আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হবে। বিশেষ করে দ্বীপের লোকজন যাতে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ও স্কুল, আবহাওয়া অফিস, ডাকঘর, হোটেলগুলো খোলা রাখতে বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, দ্বীপের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সেই পরিস্থিতি এখনও হয়নি। তবে অন্যদিনের তুলনায় সাগরের স্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের পানিতে বেশ কয়েকটি ফিশিং ট্রলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দ্বীপবাসীদের সর্তক থাকতে সকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। তাছাড়া দ্বীপের দ্বিতীয় তলা হোটেল-মোটেল সব প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিম, রেডক্রিসেন্টের লোকজন ও দ্বীপে দায়িত্ব থাকা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে। অবস্থা খারাপ হলে প্রয়োজনে দ্বীপের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। অন্যদিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: