কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

স্ত্রীকে ৪ টুকরা করে হত্যা, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চার টুকরা করে হত্যার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালাবাড়ী বাজার এলাকা পারিবারিক কলহের কারণে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনাটি ঘটে। ভোরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় সাদ্দামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির কনেষ্টবল মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৫) তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা বেগমকে (৩০) নিয়ে তাফালবাড়ী বাজারের একটি বাসায় বসবাস করতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এর জের ধরে নিজের ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করেন সাদ্দাম।

যেভাবে খুন হন জোসনা
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোসনা বেগমের দেহ থেকে মাথা কেটে ফেলেন সাদ্দাম। পরে দুই হাতের কবজি আলাদা করে ফেলেন। পেট কেটে ৪ টুকরা করে জোসনার গর্ভের বাচ্চাটিকে বের করে ফেলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরণখোলা থানা পুলিশ আজ শুক্রবার ভোরে সাদ্দামের ওই ভাড়া বাসায় অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে জোসনার খণ্ডকৃত দেহ উদ্ধার করে। এ সময় সাদ্দামকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার রায়সহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আজ শুক্রবার সকালে শরণখোলা থানায় সাদ্দামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত জোসনার মা জুলেখা বেগম। আটক পুলিশ কনেষ্টবল সাদ্দামকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জানা গেছে, এক বছর আগে খুলনার রূপসা থানার চানপুর গ্রামের বাসিন্দা জোসনাকে বিয়ে করেন সাদ্দাম। তার বাবার নাম আ. লতিফ। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার বড়দল গ্রামে। ২০১৩ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন সাদ্দাম। সেখান থেকে গত তিনমাস আগে ফকিরহাট থেকে তাফালবাড়ীর পুলিশ ফাঁড়িতে তিনি যোগদান করেন।

শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, সাদ্দাম তার স্ত্রীকে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। আমরা সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছি। পারিবারিক কলহের কোন পর্যায়ে স্ত্রীকে হত্যার মতো ঘটনা ঘটল তার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

পাঠকের মতামত: