কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়কের খাল

১৩ গ্রামের ভরসা এক ভাসমান সেতু

জিয়াবুল হক, টেকনাফ::

কক্সবাজারের টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়কে খালের উপর নির্মিত হয়েছে একটি ভাসমান সেতু।
এতে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের ১৩ টি গ্রামের ৩৫ হাজার মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে।
গত কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টিতে টেকনাফের নাফ নদী ও উপকূলীয় সড়ক দিয়ে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
এসব মানুষদের কষ্ট লাঘবে নিজস্ব অর্থায়নে এ ভাসমান সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন।
এর আগে ২০১২ সালে জুলাই মাসে নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙে শাহপরীর দ্বীপ সড়কের পাঁচ কিলোমিটার অংশ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায় শাহপরীর দ্বীপের সঙ্গে টেকনাফ সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সড়কে ভরাখাল নামক এলাকায় বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে একটি ভাসমান সেতু নির্মাণ করে দিয়ে লোকজন যাতায়াত করছে। এর আগে এখানে নৌকা দিয়ে চলাচল করতো দ্বীপবাসী। তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেনের নিজস্ব অর্থায়নে ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ও ৪ ফুট প্রস্থ এ ভাসমান সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা।
শাহপরীরদ্বীপের বাজার পাড়া এলাকার নুরুল আমিন বলেন, নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে দুর্ভোগে ছিল দ্বীপের ৩৫ হাজার মানুষ। এতদিন নাফ নদী ও উপকূলীয় সড়ক দিয়ে কোনও রকম চলাচল করে আসছিল। কিন্তু ভারী বৃষ্টিতে সেসব পথ দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দ্বীপবাসীদের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ও একটি ভাসমান সেতু নির্মাণে প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে শত শত মানুষ যাতায়াত করছে।
এতে মানুষের কষ্ট কমেছে কিছুটা। তবে আমরা চাই, পুরো সড়কটি যেন দ্রুত নির্মাণ করা হয়, যাতে দ্বীপবাসী টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপে সরাসরি যাতায়াত করতে পারে। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, ভাসমান সেতুর কারণে শাহপরীরদ্বীপের ১৩ টি গ্রামের মানুষ উপকৃত হয়েছে। এতে মানুষের কষ্ট কমেছে। এবিষয়ে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, সাবরাং ইউনিয়নের ৩৫ হাজার মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে নিজস্ব অর্থায়নে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতু দিয়ে এখন প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষ যাতায়াত করছে। অন্তত বর্ষার দিনে মানুষ চলাচল করতে পারবে। তবে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপের সড়কটি আগামী বছর জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।’

পাঠকের মতামত: