কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

১৮ ইউনিটের চেষ্টায় সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (৭ জুন) সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে ভোর ৪টার দিকে ভয়াবহ এ আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে আরও বাড়ানো হয় ইউনিটের সংখ্যা।

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বস্তির অন্তত এক হাজার ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ভোর ৩টা ৫৯ মিনিটে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে সেখানে ৪টা ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও ১৪টি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। এছাড়া পুলিশ, র‌্যাব ও স্থানীয় বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি।

বস্তির বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, বস্তিজুড়ে কাঠ ও টিনশেডের ঘর। পুরো বস্তিতে প্রায় দুই হাজার ঘর রয়েছে। এর অর্ধেকই পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন।

এর আগে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘আগুন ছড়িয়ে পরার সব উপাদানই এই বস্তিতে ছিল। সাততলা বস্তি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এখানে অবৈধ গ্যাস ও বিদুৎ সংযোগও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- গ্যাস বা বিদুৎ সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত।’

আমারসংবাদ

পাঠকের মতামত: