কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি

একাদশ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। রাজধানীর গুলশানে আজ সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির নেওয়া এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

গত ১৯ ডিসেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর সেই কলঙ্কময় কালো দিবসের দ্বিতীয় বছর পূর্ণ হবে। বাংলাদেশের মানুষ এই দিনটিকে ক্ষোভ ও ঘৃণার সঙ্গেই স্মরণ করে। ২০১৮ সালের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সকাল ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যৌথভাবে প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় সমাবেশ করবে।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণ সম্পর্কে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণের একটি পরিকল্পনা সরকার প্রকাশ করলেও তা জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়। ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও তার সংরক্ষণ, পরিবহণ ও বিতরণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করা জরুরি। সংগ্রহকৃত ভ্যাকসিন সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ, দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিতরণ এবং নীতিমালা সঠিকভাকে পালন করে ভ্যাকসিনগ্রহীতার কাছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ পর্যন্ত একটি টেকনিক্যাল বিষয় হওয়ায় ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কালবিলম্ব না করে একটি রোড ম্যাপ প্রণয়ন এবং তা জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে অবহিতকরণ, সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পুরো পরিকল্পনা জনগণের কাছে প্রকাশ করা প্রয়োজন।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও পৌরসভার অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে না পারা ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় স্থায়ী কমিটির সভায়। এ ছাড়া গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠকে যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জনগণের কাছে প্রকাশ না করায় স্থায়ী কমিটির সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

ভ্রান্তনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ একটি শিক্ষা প্রতিবন্ধী জাতিতে পরিণত হতে চলেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বৈশ্বিক সূচকে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন হওয়ায় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হতাশা এবং সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করা হয়।

পাঠকের মতামত: