কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

৮ সপ্তাহ পর নিতে হবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ

দেশে করোনাভাইরাসের গণ টিকাদান কর্মসূচিতে ফের পরিবর্তন আনা হয়েছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শে করোনার টিকার ডোজের সময়সীমায় এই পরিবর্তন এনেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমাদের পরামর্শক কমিটি, ওয়ার্ল্ড ভ্যাকসিনেশন কমিটি, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন-সবাই মিলে পরামর্শ দিয়েছে যে, এটা আট সপ্তাহ পরে হলে ভালো হয়। এ কারণে আমরা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সময় পরিবর্তন করেছি।

এ নিয়ে একাধিকবার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় পাল্টাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড–১৯ টিকাদান পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার সময় প্রথমে বলেছিল, সময়ের পার্থক্য হবে চার সপ্তাহ। এর সমালোচনা করেছিলেন কিছু জনস্বাস্থ্যবিদ। তখন সময় পাল্টে আট সপ্তাহ করা হয়। কিন্তু গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই ডোজের সময়ের পার্থক্য হবে চার সপ্তাহ।

গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দিয়ে বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান।

গতকাল রোববার পর্যন্ত সারা দেশে ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য এক মাস পর সময় দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর যাদের দ্বিতীয় ডোজের তারিখ দেওয়া হয়েছে তারা কী করবেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, তাদের এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। প্রত্যেককে এই টিকার দুটি ডোজ দিতে হবে।

পাঠকের মতামত: