কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ২

ওসমান আবির::

কক্সবাজারে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবেও মাদক পাচার থেমে নেই।এখনও বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে সক্রিয় মাদক পাচারকারীরা তাদের মাদক পাচার চালিয়ে যাচ্ছে।প্রতিদিনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে মাদক সহ পাচারকারীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ে অভিযান চালিয়ে ফের ১০ হাজার পিচ ইয়াবা সহ দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করেছে র‍্যাব-১৫। আটক দুজনের মধ্যে একজন স্থানীয় বাসিন্দা অপরজন রোহিঙ্গা শরণার্থী।আজ সোমবার র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

আটক মাদক কারবারীরা হলেন বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র আহমদ আলী (৩৭) এবং কুতুপালং ২ নাম্বার ক্যাম্পের এ-ব্লকের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের পুত্র নুরুল আমিন(৩৯)।

সোমবার (৬ জুলাই) দুপুর ১.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে কিছু কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং-শামলাপুর রোড দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করে শামলাপুরের দিক আসছে।উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৫ এর একটি চৌকশ অভিযানিক দল হোয়াইক্যং-শামলাপুর রাস্তার উপড় চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশী অভিযান শুরু করে।তল্লাশীর একপর্যায়ে টেকনাফের দিক হতে আসা কয়েকজন পথচারী চেকপোষ্টের সামনে আসলে র‍্যাব সদস্যগণ উক্ত ব্যক্তিদের থামিয়ে তল্লাশি করার সময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ধাওয়া করে আসামী আহমদ আলী ও নুরুল আমিনকে আটক করে।তবে তাদের সাথে থাকা একজন সহযোগী পালিয়ে যায়।পরে আটক ব্যক্তিদের হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ১০ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা প্রায়।

এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মাদক আইনের মামলায় উদ্ধারকৃত মাদকসহ ধৃত মাদক কারবারীদের টেকনাফ থানায় সোর্পদ করা হয়েছে বলে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী নিশ্চিত করেন।

পাঠকের মতামত: