কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামারবাড়ি

এম.কলিম উল্লাহ, উখিয়া::

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনে টুং-টাং শব্দে সরগরম হয়ে উঠেছে কামারের দোকানগুলো। তবে আগের তুলনায় বর্তমান করোনা ভাইরাসের দুঃসময়ে পরিস্থিতিটা একটু স্বাভাবিক হলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে অবিরাম কাজ করছেন তারা। আগুনের শিখায় লোহা পুড়িয়ে তৈরি করা ছুরি, দা, বটি, চাপাতি দিয়ে পশু কোরবাণির পাশা-পাশি মাংস কাটার জন্য এসব কিনতে কামারের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারন মানুষ।

ক্রেতাদের অভিযোগ এ বছর এসব সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি রাখা হচ্ছে। কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এ শিল্পের প্রধান উপকরন লোহা ইস্পাত ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় কামাররা এখন বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এছাড়া মহামারি করোনা ও বৃষ্টির কারণে কয়লা সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে বলেও জানান তারা।

সরেজমিনে দেখা যায় দুর থেকেই দেখতে পাওয়া যায় কয়লার আগুনে বাতাস দেয়ার হাঁসফাঁস আর হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। আগুনে পুড়া লাল গরম লোহাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটায় ছড়ায় স্ফুলিঙ্গ। সেখানে যেন নেই কোন দিন-রাত অবিরাম চলছে কাজ আর কাজ।

কোটবাজার স্টেশনের বিরাজ কর্মকার জানান, বছরের ১১ মাসে তাদের ব্যবসা হয় এক রকম,আর কোরবানির ঈদের ব্যবসা আরেক রকম। অধীর কামার সহ অন্যান্য কামারের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, স্প্রিং লোহা (পাকালোহা) ও কাঁচা লোহা সাধারনত এ দুই ধরনের লোহা ব্যবহার করে এসব উপকরণ তৈরি করা হয়।স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো,দামটা একটু বেশি। আর কঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামুলকভাবে কম। দা, বটি, ছুরি, চাপাতিতে সাধারণত এ্যাঙ্গেল, রড, স্টিং, রেললাইনের লোহা, গাড়িরপাত ইত্যাদি ব্যাবহার করা হয়।

অনেকে আবার লোহা নিয়ে এসে কামারদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে নিয়ে যায়। আবার অনেকে রেডিমেইড বানানো গুলোও নিয়ে যায়।

পাঠকের মতামত: