কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া সড়কটি খানা-খন্দে ভরা

আমিনুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)::

রামু উপজেলার বৃহত্তর গর্জনিয়া বাজারটির উপর নির্ভর করছে নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, দৌছড়ি, বাইশারী সহ ৪ ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ।

এই বাজারে মালামাল নেওয়া আসার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নাইক্ষ্যংছড়ির রূপনগর হইতে তুলাতলী পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তাটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে যা বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে এ বাজারের ব্যবসায়ী সহ দু-দুরান্ত থেকে আসা তাদের (ব্যবসায়ী) প্রয়োজনে প্রতিদিন ভারী মাল বুঝা নিয়ে ট্রাক সহ যাত্রীবাহী বিভিন্ন গাড়ি গুলো চলছে জীবনের ঝুকি নিয়ে। ২০০৭ সালের দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা সংলগ্ন স্টিল ব্রিজ টি কাঠ বাহি একটি ট্রাক সহ ব্রিজটি ভেঙ্গে খাদে তলিয়ে যাওয়ার পর সামান্য মেরামতে ছোটখাটো গাড়িগুলো চললেও ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিজিবি।

সেই থেকে বিকল্প সড়ক হিসাবে গর্জনিয়া বাজারে আসা বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরা এই সড়কটিকে ব্যাবহার করে আসছে। প্রতি বছর বাজার ব্যাবসায়ীদের সহযোগিতায় কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সামান্য কিছু সংস্কার হলেও এই বছর তা আর হয়নি। তাই বর্ষার শুরুতে রাস্তাটি ছোট বড় গর্তে পরিনত হয়ে বর্তমানে প্রায় অংশ খাদে পরিণত হয়েছে। তাতে গাড়ি চলা দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করা মুস্কিল। স্থানীয়দের দাবি, ২০০৩ সালে এই রাস্তাটি সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য করা হলেও বৃহত্তর গর্জনিয়া বাজারের মালবুঝায় গাড়ি গুলো চলাচল করায় এলাকার শত শত স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার র্শিক্ষার্থী সহ হাজারো মানুষ পায়ে হেঁটে বাজার বা স্কুল কলেজে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধ ভোলা শর্মা জানান, দেশে এমন রাস্তা আছে কিনা আমার জানা নেই। রাস্তাটি দেখলে এটি রাস্তা বলে মনে হয়না । বাজারের ব্যাবসায়ী শফি, আব্দুল হাকিম সহ অনেকে এ প্রতিবেদকে জানান, আমরা ব্যবসায়ীরা সহ স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগীতা প্রকিত বছর বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি সংস্কার করে মোটামুটি চলাচলের উপযোগী করলেও এ বছর রাস্তাটি অতিরিক্ত ভাঙ্গন ও তলিয়ে যাওয়ায় আমাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়। কারণ যে রাস্তায় ২০-২৫ টনের গাড়ি চলে সেখানে আমাদের সহযোগিতায় রাস্তা টিকিয়ে রাখা দুস্কর।এ ভাবেই ব্যাবসা করছি আমরা তাই মাননীয় রামু কক্সবাজারের সাংসদ আলহজ্ব সাইমুন সরয়ার কমল সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এ বাজারটি রক্ষার্থে রাস্তাটি শীগ্রই সংস্কারের জোর দাবি জানান। তারা এ বিষয়ে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাইল (নোমান) জানান, এ রাস্তটি এলজিইডির। তাই মাননীয় সাংসদ আলহজ্ব সাইমুন সরয়ার কমল এর সুপারিশে টেন্ডারের পথে। আর এ রাস্তাটি করার জন্য আমার জোর প্রচেষ্টা থাকবে।

পাঠকের মতামত: