কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প ইনর্চাজের আক্রোশের শিকার স্থানীয়রা

গফুর মিয়া চৌধুরী, উখিয়া::

কক্সবাজারেের  উখিয়ার কুতুপালং রেজিষ্ট্রাড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনর্চাজের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম, দুনীর্তি, পক্ষপাত দুষ্টের অভিযোগে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। অদ্য ১৭/০৯/২০২০ ইং তারিখ বেলা ১২টায় উখিয়া প্রেস ক্লাবে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ খলিলুর রহমান মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্হান নিয়ে স্হায়ী বাসিন্দাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। এ বির্তকিত ক্যাম্প ইনর্চাজ যোগদানের পর থেকে এনজিও’দের বেআইনী সহযোগিতা করে আসছে। রোহিঙ্গাদের অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় মদদ প্রদান,রোহিঙ্গা গোষ্টিকে অবৈধ ব্যবসা বানিজ্যে করতে সুযোগ করে দিয়ে টাকা আয় করে আসছে। সম্প্রতি ক্যাম্প ইনর্চাজ খলিলুর রহমান বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে স্হানীয়রা অভিযোগ করেন।

তিনি ইতিমধ্যে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুপালং গ্রামের প্রায় একশত পরিবারকে বসতবিটা থেকে উচ্ছদ,স্হায়ী স্হাপনা ভাংচুর,দোকানপাট,ব্যবসা প্রতিষ্টান দখল,ক্ষেত খামারের জায়গা জোর পুর্বক দখল করে এনজিও’দের অফিস করে দিচ্ছে।

জমির মালীকেরা প্রতিবাদ ও বাঁধা দিতে চাইলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে স্হানীয়দের হামলা ও নির্যাতন নিপীড়ন চালায়। আবার ম্য্যজিষ্ট্রেসি ক্ষমতার অপ ব্যবহার করে হামলা মামলায় লিপ্ত রয়েছে। এদিকে ক্যাম্প ইনচার্জের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে কুতুপালং গ্রামের বাসিন্দারা গত ১৫/০৯/২০২০ ইং তারিখ রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এতে ক্যাম্প ইনর্চাজ খলিলুর রহমানকে দ্রুত অপসারণের দাবী করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুলুপি প্রদান করা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়,সচিব ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, স্হানীয় সংসদ সদস্য, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক,জিওসি রামু সেনানিবাস, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

পাঠকের মতামত: