কক্সবাজার, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

বছরে একাধিকবার জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যাবে

বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পণ্যের দাম পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি করতে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন’ সংশোধনের জন্য সংসদে বিল পাস হলো। বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২০ সংসদে পাসের জন্য প্রস্তাব করেন; পরে উপস্থিত আইনপ্রণেতাদের কণ্ঠ ভোটে সেটি পাস হয়।

এর আগে, বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিস্পত্তি করেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। গত ২৩ জুন বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।
২০০৩ সালে প্রণীত বিদ্যমান আইনের বিধান অনুযায়ী কমিশনের নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করার সুযোগ ছিল না। বিলে এটা পরিবর্তন করে করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে কমিশনের একক বা পৃথক পৃথক আদেশ দ্বারা, প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিকবার পরিবর্তন করতে পারবে।

নতুন আইন কার্যকর হলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বছরে এক বা একাধিকবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডিজেল, পেট্রোলসহ জ্বালানি পণ্যের দাম পরিবর্তন করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বলেন, সম্প্রতি জ্বালানি সরবরাহ কাঠামোতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটায় আইনটি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যদের উত্থাপন করা বিভিন্ন প্রসঙ্গের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি নয়, এটা বিনিয়োগ।
কোভিড পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিলের অনিয়ম নিয়েও সংসদে কথা বলেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিল সংগ্রহ করতে না পারায় বিল বেশি আসার ঘটনা ঘটলেও পরবর্তী তিন মাসে সেসব বিলের অভিযোগ সমন্বয় করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: