কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দুদকের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে এ কমিশনের যাত্রা শুরু হয়। দুদকের এ যাত্রায় এরই মধ্যে কমিশন গঠন ও পুনর্গঠিত হয়েছে পাঁচবার।

বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের সমন্বয়ে গঠিত প্রথম কমিশনের যাত্রা। এরপর যথাক্রমে সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, গোলাম রহমান ও মো. বদিউজ্জামানের পরে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ দায়িত্ব নেন বর্তমান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

ইকবাল মাহমুদের দায়িত্ব নেওয়ার পর পেরিয়ে গেছে সাড়ে চার বছর। মহামারি করোনার কারণে বড় ধরনের আয়োজন ছাড়াই ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। তবে গতানুগতিক অনুষ্ঠানের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের আত্মসমালোচনামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সংস্থাটি।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৫ সালে দুদকে দুর্নীতি-অনিয়ম সংক্রান্ত ১০ হাজার ৪১৫টি অভিযোগ জমা পড়ে। পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যার পরিমাণ হলো ২১ হাজার ৩৭১টি।

পাঁচ বছরের ব্যবধানে দুদকে জমা পড়া অভিযোগ ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালে ১২ হাজার ৯৯০টি অভিযোগ, ২০১৭ সালে ১৭ হাজার ৯৮৩ ও ২০১৮ সালে ১৬ হাজার ৬০৬টি অভিযোগ দুদকে জমা পড়েছে।

২০১৫ সালে জমা পড়া অভিযোগ থেকে এক হাজার ২৪০টি অভিযোগ অনুসন্ধানে নেয় দুদক। আর ২০১৬ সালের অভিযোগ থেকে এক হাজার সাতটি, ২০১৭ সালের অভিযোগ থেকে ৯৩৭টি, ২০১৮ সালের অভিযোগ থেকে এক ২৬৫টি এবং ২০১৯ সালের অভিযোগ থেকে এক হাজার ৭১০টি অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।

মামলার পরিসংখ্যানে অনুযায়ী ২০১৬ সালে দুদক মামলা করেছিল ৩৫৯টি। পরের বছর ২০১৭ সালে ২৭৩টি, ২০১৮ সালে ২১৬টি এবং ২০১৯ সালে ৩৬৩টি।

একই সময়ের ব্যবধানে দুদকের মামলায় সাজার পরিমাণ বেড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে ৬৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৫ সালে কমিশনের মামলায় ৩৭ শতাংশ ও ব্যুরোর মামলায় ২৫ শতাংশ সাজা হয়েছে। এরপর ২০১৬ সালে কমিশনের মামলার ৫৪ শতাংশ ও ব্যুরোর ৪৫ শতাংশ, ২০১৭ সালে কমিশনের মামলার ৬৮ শতাংশ ও ব্যুরোর মামলার ৩৯ শতাংশ সাজা হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালে কমিশনের মামলার ৬৩ শতাংশ এবং ব্যুরোর মামলার ৫০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে আদালত থেকে ৬৩ শতাংশ মামলার সাজা এসেছে।

পাঠকের মতামত: