কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

পটুয়াখালীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। তবে এদের কেউই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন না।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন, মাধবখালী ইউনিয়নের কাঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও সমাদ্দার কাঠী গ্রামের রাকিব খন্দকারের মেয়ে সাহারা সানফুল (১৫), উত্তর মাধবখালী গ্রামের মৃত মহব্বত আলী হাওলাদারের ছেলে মন্নাফ হাওলাদার (৫০), মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত একরাম সিকদারের ছেলে আলেক সিকদার (৫০), মাধবখালী গ্রামের মৃত্যু বন্দে আলী সিকদারের ছেলে মো. নুর মোহম্মদ সিকদার (৮০), উত্তর মাধবখালী গ্রামের দেনছে আলী সিকদারের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৫৫), মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ফরমান সিকদারের ছেলে আলিম উদ্দিন সিকদার (৭৫), একই গ্রামের গণি হাওলাদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৭০), মৃত করিম নেগাবানের মেয়ে ফরিদা বেগম (৫০), ভাজনা কদমতলা গ্রামের আজাহার হাওলাদারের ছেলে সোবাহান হাওলাদার (৫৫), পিপড়াখালী গ্রামের মৃত ইউনুস হাওলাদারের স্ত্রী কদবানু বেগম (৭০), ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের মৃত রাখাল চন্দ্র মালীর ছেলে বীরেন মালী (৫৫)।

শনিবার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত গত তিনদিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এদের মৃত্যু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৯৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭দিনে উপজেলায় ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৪৪২ জন। এদের মধ্যে সোমবার দুপুর পর্যন্ত এক সপ্তাহে ১৮১ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ২৬১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কয়েক জন রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় কোনো শয্যা খালি না থাকায় বাধ্য হয়ে মেঝে এবং বারান্দায় থেকে আমাদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। হাসপাতালে স্যালাইন সংকট থাকায় বাজারের ওষুধের দোকান থেকে অতিরিক্ত দামে স্যালাইন কিনতে হয়েছে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়নি। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রামে কয়েকজন রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোগীর সংখ্যা অতিরিক্ত হওয়ায় স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে । ইতিমধ্যে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ১১ হাজার ব্যাগ আইভি স্যালাইনের চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: