কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

“দেশজুড়ে ইপসার কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার আশাবাদ”

উখিয়ায় ইপসা’র ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি::

“হাটি হাটি পা পা করে অনেক চড়াই উতড়াই পেরিয়ে ইপসা উদযাপন করছে ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আগামীতে দেশজুড়ে উপসার কার্যক্রম বিস্তৃত হবে। ইপসার কর্মীরাই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ইপসার কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে।” – উখিয়ায় ইপসার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আয়োজনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা। গতকাল ২০ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম মেনে সীমিত আকারে উখিয়ার ইপসা প্রকল্প কার্যালয়ে ইপসার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল তিনটায় নোবেল বড়–য়ার সঞ্চালনায় শুরু হয় আয়োজন। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মোহাম্মদ মহসীন। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইপসা’র উখিয়ার ফোকাল এবং শেল্টার প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শমসের উদ্দীন মোস্তফা। এসময় তিনি বলেন, ‘ইপসা এখন তাঁর যৌবন পার করছে। ইতিমধ্যেই ইপসা দেশ বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করছে। সেই সাথে কুড়িয়েছে প্রশংসাও। ইপসার এই অগ্রযাত্রাকে সবাই মিলে আরও বেশী এগিয়ে নিতে হবে। এটিই হোক আমাদের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার।’ শমসের উদ্দিন মোস্তফার বক্তব্যের পর মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মুজিবুর রহমান। মিলাদ শেষে ইপসা’র উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করে দোয়া করা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের মঞ্চে একে একে কথামালা নিয়ে হাজির হন উখিয়াতে ইপসা পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প প্রধানরা। একে একে কথামালার আয়োজনে অংশ নেন এইচএআই বিডি প্রকল্পের ফরহাদ উদ্দিন, কোভিড নাইনটিন প্রকল্পের মোস্তাক আহমদ, সিওসি প্রকল্পের অনন্ত চাকমা, সিসিএসডিএসএ প্রকল্পের শিহাব জিশান, শেল্টার প্রকল্পের সনৎ মুখার্জী, চাইল্ড প্রোটেকশান প্রকল্পের আব্দুন নুর তুষার, এইচ আর এফ শেল্টার প্রকল্পের আদিল মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, শিক্ষা প্রকল্পের শেখ ওবায়দুল হক শামীম, সিভিক প্রকল্পের রোজিনা আক্তার, মানবপাচার প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজী তাহমিনা সুলতানা ও ইপসার সাধারণ সদস্য এবং কোভিড নাইনটিন প্রকল্পের মোহাম্মদ ইসমাইল। প্রকল্প প্রধানদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরে আগামী দিনগুলোতে প্রকল্পকে আরও বেশী বেগবান করার আশা ব্যক্ত করেন।
জন্মদিনের এই আনন্দযজ্ঞে ইপসা’র ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন রোজিনা আক্তার ও শান্ত চৌধুরী। এরপর কথামালার আয়োজনে অংশ নেন ইপসা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা রেসপন্স কোঅর্ডিনেটর এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার যিশু বড়–য়া। তিনি বলেন, ‘ইপসার সৃষ্টি হয়েছে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য, সমাজে অবদান রাখার জন্য। ইপসাকে যারা আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে তাঁদের প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা। ইপসা আজকে এই পর্যায়ে আসার কারণে অনেকেরই চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কোভিড মহামারির মাঝেও মানুষের কল্যাণে ইপসা তাঁর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা প্রশাসন থেকে শুরু করে আপামর মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এভাবেই ইপসার সুনাম ধরে রাখতে সকলকে স্বচ্ছভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’ সবশেষে কেক কাটার মাধ্যমে শেষ হয় উখিয়াতে ইপসার জন্মদিনের আনন্দযজ্ঞের আয়োজন। এরপর সরাসরি ইপসার মূল ফেসবুক পেইজ থেকে প্রচারিত জন্মদিনের আয়োজন বড় পর্দায় উপভোগ করেন সকলে।

পাঠকের মতামত: