রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া বার্তা::
সরকারের তৃতীয় মেয়াদের ১ম বর্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকীকে সামনে রেখে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে
দেখছে সরকার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বললেন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, কতিপয় এনজিও, আইএনজিও এর র্নিলিপ্ততার কারনে কুটনৈতিক তৎপরতা অব্যহত থাকার পরও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহীনির গনহত্যা, গননিষ্ঠুরতায় ইউএনএইচআর এর তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা এদেশে পালিয়ে আসে। বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দিক বিবেচনায় জরুরী ভিত্তিতে তাদের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় দেয়ার পর দেখা দেয় কুটনৈতিক চ্যালেঞ্জ। যা রোহিঙ্গা
কুটনীতি নামে পরিচিতি পায়। কিন্তু প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য দিনক্ষন শুরু করেও কাজ শুরু করা যায়নি বলে মিয়ানমারকে দোষারোপ করে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, রোহিঙ্গাদের গ্রহন এবং তাদের রক্ষনাবেক্ষনসহ আশ্রয় প্রভৃতি বিষয়ে মিয়ানমারের দায়সারা কার্যক্রম ও অনিহার কারনে যথা
সময়ে প্রত্যাবাসন পায়নি।
রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা গত বছর রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীনের অবস্থানে ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের অবস্থানও লক্ষ্যনীয়। আন্ততর্জাতি আদালতে রাখাইন গনহত্যার বিচার চেয়ে গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমারকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হয়েছে। জাতি সংঘের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। যার ফলে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে এবং জাতির জনকের
শতবর্ষ পালন কালে মিয়ানমারের রাজনৈতিক অবস্থা কোনঠাসার অন্যতম কারন বলে ঐ রোহিঙ্গা নেতা দাবি করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন সংগ্রাম কমিটির সচিব পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বার বার বিলম্বিত হওয়ার নেপথ্যে কাজ করছে কতিপয় এনজিও, আইএনজিও। তাদের কারনে রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে না।
বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনের জন্য প্রায় ১লক্ষ রোহিঙ্গার তালিকা দিলেও মিয়ানমার মাত্র ৮ হাজার রোহিঙ্গা তালিকা চুড়ান্ত করেছে। যা যথাযথ নয় বলে দাবি করে ঐ জনপ্রতিনিধি বলেন, প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক খুবই ভাল। চলতি বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ক্ষেত্রে সফলতা আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নুর জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকি উপলক্ষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। ৭৭টি বাংলাদেশী দূতাবাস ও বৃটেনে মুজিব বর্ষ পালন একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা উজ্জ্বল সম্ভাবনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বার বার উঠে আসছে। তাই বিভিন্ন শ্রেনি
পেশার মানুষ মনে করছেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোর মুখ দেখবে।
পাঠকের মতামত: