কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পদ্মা নদীতে নৌযান চলাচলে নতুন নির্দেশনা

চলমান বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে স্রোত। এ কারণে পদ্মা নদীতে যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ ও স্পিডবোট) চলাচলে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
পদ্মা নদীতে নৌযান চলাচলে নতুন নির্দেশনা

সোমবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌযান চলাচল সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে এ নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলমান বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপ বৃদ্ধির কারণে শিমুলিয়া, বাংলাবাজার, মাঝিকান্দি ও কাছাকাছি এলাকায় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে।

সেই প্রেক্ষিতে নৌদুর্ঘটনা পরিহার ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জারিকৃত রুট পারমিট ও সময়সূচি অনুযায়ী চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানকে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে চলাচল শুরু করে বর্ণিত তিনটি লঞ্চঘাট ত্যাগের সর্বশেষ সময়সীমা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো।

কোনো যাত্রীবাহী নৌযান সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ঘাট ত্যাগ করতে পারবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা এড়াতে রোববার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলে নতুন রুট নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন এ রুট দিয়েই ফেরিগুলোকে চলাচল করতে হবে।

বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম জানান, এখন থেকে পদ্মা সেতুর ১১ থেকে ১৪ নম্বর পিলারের মধ্য দিয়ে ফেরি চলাচল করবে। সেই সঙ্গে বাংলাবাজার ঘাট থেকে বের হয়ে মাগুরখণ্ড এলাকায় মূল পদ্মা নদীতে আসার পর ফেরি ওপরের দিকে তিন কিলোমিটার নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও দেওয়া হয়েছে।

এদিন বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই পদ্মা সেতুর পিলারগুলোকে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফেরি চলাচলের নতুন রুট হিসেবে ১১, ১২, ১৩, ১৪ নম্বর পিলারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ফেরির চালকেরা মূলত ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

তিনি বলেন, ফেরি বাংলাবাজার ঘাট থেকে বের হয়ে মূল পদ্মায় আসার আগেই মাগুরখণ্ড চ্যানেল থেকে ওপরের দিকে (স্রোতের অনুকূলে) তিন কিলোমিটার যাওয়া নিশ্চিত করতে চ্যানেলের শেষ মাথায় একটি বয়া (আধুনিক বাতি যুক্ত) বসানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তিন কিলোমিটার গিয়ে এল আকৃতির রুটে ফিরে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাবে ফেরি। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর মাওয়া ঘাটের দিকে সেনাবাহিনীর একটি টহল স্পিডবোট মোতায়েন করা হয়েছে। ফেরির গতিপথ বুঝে চালককে আগেই সতর্ক করবেন তারা।

পাঠকের মতামত: