কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি তালেবানের

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর ভারতকে ধন্যবাদ দিয়েছে তালেবান। তবে একই সঙ্গে দিল্লিকে সামরিক তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি তালেবানের

তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহিন এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি বলেছেন,  আফগানিস্তানে ভারতীয় সেনা উপস্থিতির পরিণতি ভালো হবে না। ভারতীয়রা আফগানিস্তানে অন্যান্য দেশের সামরিক উপস্থিতির পরিণতি স্বচক্ষে দেখেছেন।

তবে ভারতের উপকারের কথা স্বীকার করেন তিনি। বলেন, আফগানিস্তানের অবকাঠামো নির্মাণ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, পুনর্গঠন ও জনকল্যাণে ভারত যেসব কাজ করেছে সে জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।

উল্লেখ্য, গত দুই দশকে আফগানিস্তানের অবকাঠামো নির্মাণকাজে কয়েকশ’ কোটি ডলার খরচ করেছে ভারত। আফগানিস্তানে সালমা বাঁধ তৈরি থেকে শুরু করে পার্লামেন্ট, স্কুল, রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে ভারত।

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে সে সম্পর্কে তালেবান মুখপাত্র বলেন, কূটনীতিকদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার; তাদের কোনো ক্ষতি আমরা করব না।

সাক্ষাৎকারে উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তালেবানের সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন সোহেল শাহিন। তিনি বলেন, ভারতসহ অন্য কোনো দেশে হামলা চালানোর কাজে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না তালেবান।

এদিকে তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশের পর ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেছে। তালেবানের রাজনৈতিক মুখপাত্র সুহাইল শাহিন এক ঘোষণায় পুরো আফগানিস্তানে ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেন।

রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে এক বিবৃতিতে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ’আফগানিস্তানে যারা এর আগে আগ্রাসীদের জন্য কাজ করেছে, সাহায্য করেছে বা এখন যারা দুর্নীতিবাজ কাবুল প্রশাসনের বিভিন্ন পদে আসীন রয়েছেন তাদের সবার জন্য ইসলামিক আমিরাত দরজা খোলা রেখেছে এবং ক্ষমা ঘোষণা করেছে। আমরা আরেকবার তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যেন তারা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসেন।’

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তার মির্জাকওয়াল বলেছেন, আফগান জনগণকে চিন্তা করতে হবে না। শহরে কোনো হামলা হবে না এবং শান্তিপূর্ণভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে জালালির নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন তালেবান দেবে কিনা, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের জন্য এখন পর্যন্ত জালালিই সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।

তথ্যসূত্র- পার্সটুডে, আলজাজিরা।

পাঠকের মতামত: